হাওর ডেস্ক::
মাদ্রাসা চলাকালীন সময় অধ্যক্ষ বেলালী দশ বছরের এক ছাত্রীকে ডেকে তার অফিস রুমে নিয়ে যান। কিছুক্ষণ পর পাশের ক্লাসে থাকা শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষের রুমে যাওয়া তাদের সহপাঠীর চিৎকার চেঁচামেচি শুনতে পায়।’
নেত্রকোনায় নিজের অফিস রুমে ডেকে দশ বছরের এক ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টাকালে মাদ্রাসার অধ্যক্ষকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে স্থানীয় জনতা।
৫ জুলাই, শুক্রবার সকালে নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার আঠার বাড়িয়া মা হাওয়া (আঃ) কওমী মহিলা মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে এর আগে তিনি এই মহিলা মাদ্রাসার অন্তত ১১ জন ছাত্রীকে এভাবে খাস কক্ষে ডেকে এনে ধর্ষণ করেছে। ধর্ষণ শেষে কোরআন শরিফ ছুয়ে তাদের শপথ করিয়ে দিতো যাতে কাউকে না বলে।
ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা মাওলানা আবুল খায়ের বেলালী নামের ওই অধ্যক্ষকে গণপিটুনি দিয়ে কেন্দুয়া থানাপুলিশের হাতে তোলে দেন।
কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
ভুক্তভোগীসহ মাদ্রাসার অন্যান্য শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ওসি রাশেদুজ্জামান বলেন, “মাদ্রাসা চলাকালীন সময় অধ্যক্ষ বেলালী দশ বছরের এক ছাত্রীকে ডেকে তার অফিস রুমে নিয়ে যান। কিছুক্ষণ পর পাশের ক্লাসে থাকা শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষের রুমে যাওয়া তাদের সহপাঠীর চিৎকার চেঁচামেচি শুনতে পায়। ঘটনাস্থলে গিয়ে অধ্যক্ষের কুকর্ম দেখে ফেলে বাকি শিক্ষার্থীরা। পরে ন্যক্কারজনক ঘটনাকে ঘিরে মাদ্রাসায় শুরু হয় তুলকালাম।
ওসি জানান, ঘটনা জানাজানি হলে স্থানীয়রা অধ্যক্ষকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীর বাবা থানায় মামলার প্রস্তুতি নিয়েছেন।
জানা গেছে ওই মহিলা মাদ্রাসায় ৮-থেকে ১২ বছর বয়সী কোমলমতি ছাত্রীরা পড়ালেখা করে। এই সুযোগে তিনি অধ্যক্ষ হিসেবে যখন তখন প্রবেশ করে ছাত্রীদের দিয়ে হাত পা টিপিয়ে সুযোগে তাদেরকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করতেন। ধর্ষণ শেষে কোরআন শরিফ ছুইয়ে এ কথা যাতে কাউকে না বলে শপথ করাতেন। কাউকে বললে জাহান্নামের আগুনে জ্বলবে বলে ফতোয়াও দিতেন। এভাবে তিনি এই অপকর্ম করছিলেন। সে একজন ওয়াজি হিসেবেও সমাবেশে ধর্মীয় উন্মাদনামূলক বক্তব্য দিতো।