স্টাফ রিপোর্টার::
গতবছর হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের টাকায় এখানে প্রায় ২৬ লাখ টাকা খরচ করে দুটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। এরপরও সড়ক ও কালভার্টটি রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। সড়ক ডুবে যাওয়ায় এবং কালভার্ট ভেঙে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে ওই এলাকার মানুষ।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ২৮ জুন প্রথম দফা পাহাড়ি ঢল ও বর্ষণে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সড়ক ও সেতুটিতে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা সৃষ্টি হয়। সড়ক উপচে যেতে থাকে পানি। গত চার দিনের ঢল ও বর্ষণে সুরমার পানি তীর উপচে এই সড়কে এসে আঘাত হানে। পাহাড়ি ঢলের তোড়ে শুক্রবার সকালে ধারারগাঁও সড়কের কালভার্টটি ভেঙে যায়। এতে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে শহরের সঙ্গে চার ইউনিয়ন।
এ ছাড়া ঢলের তোড়ে ভাঙন বাড়ছে।
এই সড়কের নবীনগর পয়েন্ট থেকে ধারারগাঁও পয়েন্ট পর্যন্ত পুরো সড়কই ডুবে গেছে। ফলে শহরের সঙ্গে কোরবাননগর, সুরমা, জাহাঙ্গীর নগর ও রঙারচর ইউনিয়নের গ্রামগুলোর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
গদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আব্দুল মজিদ বলেন, প্রতিবছরই সড়ক ও কালভার্টটি ভাঙছে। প্রতিবছর সংস্কার করিয়েও লাভ হচ্ছে না। সড়কটি ডুবে যাওয়ায় ও কালভার্ট ভেঙে যাওয়ায় শহরের সঙ্গে চার ইউনিয়নের অন্তত লক্ষাধিক মানুষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন।
পৌর মেয়র নাদেও বখত বলেন, ‘পাহাড়ি ঢলের তোড়ে সড়কটি ডুবে গেছে। কালভার্টটিও ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। প্রতিবছরই এই সড়কটি ডুবে ও ভেঙে দুর্ভোগ ডেকে আনে। গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি নিয়ে বিশেষ করে ভাবতে হবে।