বিশেষ প্রতিনিধি::
আটদিন পর সূর্যের দেখা পেয়েছে হাওরবাসী। আকাশ ঝলমল করে না হাসলেও সূর্যের ঈষৎ উপস্থিতি জনজীবনে স্বস্থি এনে দিয়েছে। আটদিন পর সূর্যের দেখা পেয়ে নি¤œ আয়ের মানুষজন কাজে নেমেছেন। তারা গত এক সপ্তাহ ধরে মানবেতর জীবন যাপন করছিলেন।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই বৃষ্টি হয়নি। দুপুর ১২টার দিকে একবার হাল্কা কয়েক মিনিট বৃষ্টি হয়েছে। তবে সূর্য তার অমিত তেজ নিয়ে এখনো দেখা দেয়নি। মেঘাকাশে সূর্যের সামান্য উপস্থিতিতেই জনজীবনে অনেকটা স্বস্তি দেখা দিয়েছে। প্রাণচাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। যদিও নি¤œাঞ্চলে বন্যার্ত ১লাখ ২০ হাজার মানুষ এখনো দুর্ভোগের মুখে আছে।
এদিকে আটদিনের টানা বর্ষণ ও ঢলে বন্যা দেখা দেয় জেলায়। ১১ উপজেলাই প্লাবিত হয়। নি¤œাঞ্চলে বেড়েছে দুর্ভোগ। বন্যার্ত মানুষ নানাবিদ রোগে ভোগছে। বিশুদ্ধ পানির সমস্যা দেখা দিয়েছে। ভেসে গেছে পুকুরের প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকার মাছ। বন্যায় নষ্ট হয়েছে ১২৬৩ হেক্টর আউশ, ১২৫ হেক্টর আমন বীজতলা।
বিভিন্ন উপজেলায় ২২টি আশ্রয় কেন্দ্র্র খোলা হয়েছে। বন্যার্তদের সহযোগিতার জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় ৩৮৫ মে.টন চাল, ৯ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা, ৭ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার জরুরি বরাদ্দ দিয়েছে। প্রতিটি উপজেলায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খুলে পর্যবেক্ষন করা হচ্ছে। তবে মঙ্গলবার থেকে পানি কিছুটা কমছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। সুনামগঞ্জের ষোলঘর পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ৬৮ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সুনামগঞ্জে এর আগে সুরমার পানি বিপদসীমার ৯৮ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। বৃষ্টিপাতও হয়েছে রেকর্ড পরিমাণ।
ঢল ও বর্ষণ বন্ধ থাকায় বন্যাপরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।