সাজ্জাদ হোসেন শাহ্::
তাহিরপুর উপজেলার পল্লীতে গলাকাটা সন্দেহে এক পাগলকে পিটিয়ে গুরত্বর আহত করেছে স্থানীয় কিছু যুবক ও এলাকাবাসী। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাতে উপজেলার বড়দল উত্তর ইউনিয়নের মানিগাও গ্রামে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা যায়, শনিবার রাত সাড়ে আটটার সময় ঐ পাগলটি নদীর পাড়ে বসা ছিল এসময় মানিগাও গ্রামের আমির উদ্দিনের ছেলে ফারুক (২৮) ও একই গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে রুবেল মিয়া (২০) সহ কিছু যুবক ঐ পাগলকে ধরে মানিগাও চকবাজারের কাছে নিয়ে গিয়ে গলাকাটা গলাকাটা বলে চিৎকার শুরু করে তাদের চিৎকার শুনে মুহুর্তের মধ্যে সহশ্রাধিক লোকজন জমায়িত হয়ে পাগলটিকে এলোপাতারি কিল, ঘুষি ও লাতি মারতে থাকে। এতে পাগলটি ঘটনাস্থলেই গুরত্বর আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এসময় কিছু লোক পাগলটিকে পার্শ্ববর্তী তোষা মিয়ার দোকান ঘরে তালাবদ্ধ করে রেখে পুলিশকে খবর দেয়। ঘটনার খবর পেয়ে বাদাঘাট পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই আমির উদ্দিন, এএসআই মনিরুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে জনতার রোষানলে পরেন। আবারো শুরু হয়ে যায় এলোপাতারি মারধর এতে পুলিশ, স্থানীয় লোকজনসহ অনেই আহত হন। পরে পুলিশী কৌশল অবলম্বন করে পাগলটিকে বাদাঘাট পুলিশ ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়। সেখানেও শুরু হয় ইট পাটকেল ছোড়া এক পর্যায়ে পুলিশ আতœরক্ষার্থে লাটিচার্জ করলে জনতা কিছুটা পিচু হঠে। পরে রাতেই পাগলটিকে তাহিরপুর থানায় নিয়ে গিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আতিকুর রহমান জানিয়েছেন, ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক আমরা রাত থেকেই পাগলটিকে চিকিৎসার জন্য এখন পর্যন্ত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে রেখেছি। এবিষয়ে উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে। এখন পর্যন্ত পাগলটির কোন নাম ঠিকানা পাওয়া যায়নী। সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মো. বরকতুল্লাহ খান বলেছেন, এসব গুজবে স্থানীয় এলাকবাসী যাতে করে কর্ণপাত না করে এবং এলাকায় সন্দেহভাজন কাউকে ঘুরাফেরা করতে দেখলে তাকে মারধর না করে নিকঠস্থ থানা অথবা ফাঁড়ীতে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হলো এবং জেলার সবকটি থানায় মাইকিং করে এসব বিষয়ে আপামর জনসাধারণকে সচেতন করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।