স্টাফ রিপোর্টার::
সাম্প্রতিক বন্যায় সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার হাওরঘেরা শিক্ষাপ্রতিষ্টান দীজেন্দ্র কুমার নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যায় প্লাবিত হওয়ার পাশাপাশি হালির হাওর ও শনির হাওরঘেরা বিদ্যালয়টি হাওরের আফালে স্কুলের প্রতিরক্ষা দেওয়ালও ভেঙ্গে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শ্রেণিকক্ষ, মাঠ, চেয়ার টেবিলসহ অন্যান্য স্থাপনা।
২০১২ সালে সাবেক চেয়ারম্যান ও শিক্ষানুরাগী দীনেশ চন্দ্র তালুকদার তালুকদার হাওরঘেরা জনপদ পৈ-ুপ গ্রামে নারী শিক্ষাসহ সার্বিক শিক্ষা বিস্তারের লক্ষ্যে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্টা করেন। ১০টি গ্রামের উচ্চশিক্ষার একমাত্র প্রতিষ্ঠান এটি। এই বিদ্যালয়টি স্থাপিত হওয়ার আগে এই এলাকার সাধারণ পরিবারের মেয়েরা উচ্চ শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হতো। স্বচ্ছল পরিবারের মেয়েরা বাইরে লেখাপড়ার সুযোগ পেলেও অসচ্ছল ও সাধারণ কৃষক পরিবারের ছেলে মেয়েরা বঞ্চিত ছিল
স্কুলটির একদিকে হালির হাওর অন্যদিকে শনির হাওর। তাই বর্ষাকালীন হাওরের উত্তাল ঢেউ আছড়ে পড়ে বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা থেকে এখন পর্যন্ত দাতার অর্থায়নেই চলছে স্কুলের কার্যক্রম। বর্তমানে আশপাশের ২৫০ জন শিক্ষার্থী পড়ালেখা করছে। ৬ জন শিক্ষক নিয়মিত পাঠদান করেন স্কুলে। বছর খানেক আগে জেলা পরিষদের অর্থায়নে দুই কক্ষের একটি ভবন নির্মিত হয়েছে। এই ভবন ও দাতার তৈরি ভবনেই কার্যক্রম চলছে।
সাম্প্রতিক বন্যায় স্কুলটি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মাঠ, প্রতিরক্ষা দেয়াল ভেঙ্গে যাওয়ার পাশাপাশি ভবনেরও ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত স্কুলের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা স্কুল সংস্কারে সরকারি সহায়তার দাবি জানিয়েছেন।
স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি দীপক তালুকদার বলেন, বিদ্যালয়টি দুর্গম এলকার ১০টি গ্রামের একমাত্র উচ্চ শিক্ষার প্রতিষ্ঠান। এটি প্রতিষ্ঠার আগে এই এলাকার সাধারণ পরিবারের মেয়েরা উচ্চ শিক্ষা থেকে ঝড়ে পড়তো। বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার ফলে মেয়েদের উচশিক্ষার পথ সুগম হয়েছে। দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে মেয়ে শিক্ষার্থীরা সংগ্রাম করে এই বিদ্যালয়ে আসছে। হাওরে নারীশিক্ষা সুগমের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত স্কুলটির জন্য পৃষ্টপোষকতা প্রয়োজন।