বিশেষ প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার মঈনপুর গ্রামে পারিবারিক জের ধরে পিতাকে হত্যার দায়ে আব্দুর রশীদ নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদ- ও ১০ হাজার টাকা অর্থদ- অনাদায়ে দুই মাসের সশ্রম কারাদ- দিয়েছে আদালত। বুধবার দুপুরে শুনানি শেষে এই দ-াদেশ দেন অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ছাতক উপজেলার মঈনপুর গ্রামের বাসিন্দা সহিদ মিয়ার বখাটে ছেলে আব্দুর রশীদ মাদকাশক্ত ও বিভিন্ন অনৈতিক কাজে লিপ্ত ছিলেন। ২০০৯ সালের ২৩ মে সহিদ মিয়া ছোট ছেলে রিপন মিয়ার খৎনার জন্যে বাজার থেকে কয়েকটি মুরগ কিনে নিয়ে আসেন। মাদকাশক্ত ছেলে রশীদ বসতঘর থেকে ১টি মুরগ চুরি করে বাজারে বিক্রি করে দেয়। এই ঘটনায় ঐদিন সন্ধ্যায় পিতা সহিদ মিয়া বখাটে ছেলে রশীদকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে বাকবিত-ায় জরিয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে হাতে থাকা লাটি দিয়ে পিতা সহিদ মিয়ার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে স্বজোরে আঘাত করলে গুরুতর আহত হয়। পরিবার ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় সহিদ মিয়া সিলেট ওসমানি মেডিকেল এ- কলেজে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে সহিদ মিয়ার মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় হত্যার দুইদিন পর ২৫ মে ছেলে আব্দুর রশীদকে আসামি করে ছাতক থানায় মামলা দায়ের করেন মা মোছা. নুরুন নেছা। এই ঘটনায় পরবর্তিতে আব্দুর রশীদের বিরুদ্ধে চার্জশীট তৈরী করে। স্বাক্ষগ্রহণ ও দীর্ঘ শুনানি শেষে বুধবার দুপুরে আব্দুর রশীদ দোষি সাব্যস্থ করে যাবজ্জীবন কারাদ- প্রদান করেন বিচারক। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সহকারি পাবলিক প্রসিকিউটর সৈয়দ জিয়াউল ইসলাম এই দ-াদেশের সত্যতা নিশ্চিত করেন। এই মামলার বাদী পক্ষের উকিল ছিলেন অ্যাড. আবু তাহের মোহাম্মদ রুহুল তুহীন।