হাওর ডেস্ক::
একসময়ের কলেরা রোগ যেভাবে নির্মূল হয়েছে, তেমনি সরকারের পাশাপাশি জনসাধারণের সচেতনতা বাড়িয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করলে স্থায়ীভাবে ডেঙ্গু নির্মূল করা সম্ভব বলে মনে করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁর নির্বাচনী এলাকা সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা সদরে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা ডেঙ্গু রোধে সরকারের স্থায়ী কোন পদক্ষেপ রয়েছে কিনা এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে ডেঙ্গু আতঙ্ক অনেক কমে গেছে। সুনামগঞ্জে এসে খোঁজ নিয়ে জেনেছি, এখানে ডেঙ্গুর কোন প্রকোপ নেই। জগন্নাথপুরেও নেই ডেঙ্গু। তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি দেশ থেকে যেভাবে কলেরা নির্মূল হয়েছে আগামীতে সকলের সচেতনতায় ডেঙ্গুও সেভাবে নির্মূল হবে।
এরপূর্বে পরিকল্পনামন্ত্রী জগন্নাথপুর উপজেলা প্রশাসন ও সমাজসেবা অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে উপজেলা সদরের আব্দুস সামাদ আজাদ অডিটরিয়ামে আয়োজিত স্বেচ্ছাধীন তহবিল হতে নগদ অর্থ ও চেক বিতরণ, ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে নতুন তালিকাভূক্ত বয়স্ক বিধবা স্বামী নিগৃহীতা মহিলা এবং প্রতিবন্ধী ভাতা বহি বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, একটি মহল সরকারের সফলতায় ঈষান্বিত হয়ে সারা দেশে নানা অপপ্রচার শুরু করেছে। এসব অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হয়ে সরকারের উন্নয়ন কর্মকা-কে ত্বরান্বিত করার সুযোগ দিতে হবে। মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার সরকার সারাদেশে উন্নয়নের জোয়ার সৃষ্টি করেছে। সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষদের উন্নয়নের মূল ¯্রােতে নিয়ে আসার কাজ করছে। বয়স্ক বিধবা স্বামী নিগৃহীতা মহিলা ও প্রতিবন্ধীদের ভাতা প্রদানের মাধ্যমে সহযোগিতা করে যাচ্ছে। সরকারের এরকম অসংখ্য জলকল্যাণমূলক কাজে সাধারণ মানুষ উপকৃত হচ্ছেন।
জগন্নাথপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজুল আলম মাসুমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সিদ্দিক আহমদ, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আতাউর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আকমল হোসেন, পৌর মেয়র আব্দুল মনাফ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণত সম্পাদক রেজাউল করিম, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান বিজন কুমার দেব, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারজানা আক্তার, জগন্নাথপুর থানার ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ। পরে বিকেলে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান রানীগঞ্জ ও পাইলগাঁও ইউনিয়নের বন্যার্ত চার শতাধিক মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন।