বাংলাদেশ জাতীয় শ্রমিক লীগের ধর্মপাশা উপজেলার পাইকরহাটি ইউনিয়ন কার্যালয়ের জুুয়ার আসর থেকে পাঁচ জুয়ারি গ্রেফতার করেছেন ধর্মপাশা থানার পুলিশপ্রশাসন। সংবাদটি পরিবেশিত হয়েছে গত ২৯ জুলাইয়ের দৈনিক সুনামকণ্ঠে। এটি একটি সংবাদ, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু এই সংবাদের মধ্যে একটি বার্তা প্রেরিত হয়েছে, সেটি হলো বর্তমান ক্ষমতাসীন রাজনীতিক দলের একটি অঙ্গসংগঠনের ইউনিয়ন শাখার সাধারণ সম্পাদক জুয়া খেলার অভিযোগে পুলিশের হাতে ধৃত হয়েছেন। এটি একটি তাজা সংবাদ। বাসি সংবাদ একটু খতিয়ে দেখা যাক নুসরাতকে পুড়িয়ে মারা হলো, সংবাদবিবরণীতে জড়িতদের তালিকার একজায়গায় একজনের সম্পর্কে বলা হলো যে তিনি ক্ষমতাসীন সরকারি দলের স্থানীয় সংগঠনের নেতৃস্থানীয় একজন। কিংবা অন্য একটি সংবাদ হয় তো এরকম যে, প্রত্যন্ত কোনও গ্রামীণ এলাকায় ইয়াবাবাণিজ্যের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ এক তরুণকে পুলিশপ্রশাসন আটক করেছেন, এবং দেখা গেলো তিনি এলাকার সরকারি দলের যুব সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক। এমন অনেক অনেক সংবাদ প্রতিনিয়ত প্রকাশিত হচ্ছে পত্রিকায়। পাঠকেরা পড়ছেন এবং তাৎক্ষণিক মুহূর্তে ভুলেও যাচ্ছেন। ভুলে যাচ্ছেন বিশেষ ঘটনাটি। কারণ এমন বিশেষ বিশেষ ঘটনা প্রতিনিয়ত তিনি প্রত্যক্ষ করছেন এবং ভাবছেন এসব তো হবেই।
সুনামগঞ্জ ভাটি এলাকা। এখানে প্রায় প্রতিবছর বন্যায় ফসলডুবির ঘটনা ঘটে। সেজন্য কৃষিবান্ধব সরকার এখানে ফসলরক্ষাবাঁধ নির্মাণের জন্য মোটা অঙ্কের টাকা বরাদ্দ করেন। বাঁধর্মিাণের কাজে বিভিন্ন উপায়ে যথারীতি দুর্নীতি হয় এবং এই দুর্নীতির কোনও প্রতিকার হয় না। এমনকি বলতে গেলে বাঁধা নির্মাণমেরামতের কোনও কাজ না করেও বাঁধ নির্মাণ কিংবা মেরামতের টাকা উত্তোলন করা হয়। অর্থাৎ যথারীতি ফসলরক্ষাবাঁধ নির্মাণের বরাদ্দকৃত টাকার সিংহভাগ বিভিন্ন ফাঁকতালে লুট হয়ে যায়। ২০১৭ সালে সুনামগঞ্জের ফসলডুবি সর্বকালের ফসলডুবির ভয়াবহতাকে ছাড়িয়ে গেলো। কৃষকের গোলায় কোনও ধান উঠলো না। দুর্ভিক্ষ একরকম অনিবার্য হয়ে উঠলো। এমন বিপর্যয়ের কারণ ফসলরক্ষাবাঁধ নির্মাণে দুর্নীতিকে নির্মূলের বিকল্পহীনতা সমাজের সকল শ্রেণিস্তরের মানুষের উপলব্ধিতে জায়গা করে নিল। এই বিপর্যয়ের মুখে অ্যাডভোকেট বজলুল মজিদ খসরু ও বিজন সেন রায়ের নেতৃত্বে কৃষকের পাশে এসে দাঁড়ালেন সুনামগঞ্জ শহরের কীছু সজ্জন মানুষ। ‘হাওর বাঁচাও সুনামগঞ্জ বাঁচাও আন্দোলন’ নামের একটি সংগঠনের উত্থান ঘটলো । এর সঙ্গে জড়ালেন প্রত্যন্ত উপজেলার হাওরপাড়ের সাধারণ মানুষ ও তাঁদের নেতারা। সংগঠনটি হাওররক্ষাবাঁধ নির্মাণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পিআইসি, ঠিকাদার ও পাউবোর সম্মিলিত দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করলো। এবং দুর্নীতি সংক্রান্ত অনেক অনেক তথ্যের সঙ্গে একটি তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেলো যে, ঠিকাদার পিআইসিরা সাধারণত ক্ষমতাসীন দলের হয়ে থাকেন এবং তাঁরা দুর্নীতি করে বাঁধ নির্মাণের টাকা আত্মসাৎ করার সুবিধা থেকে বঞ্চিত হন না। হাওর বাঁচাও সুনামগঞ্জ বাঁচাও আন্দোলনের ফলে ক্রমে ক্রমে প্রকাশিত হতে থাকলো অনেক অনেক গোপন তথ্য। সেইসব তথ্যের মধ্যে প্রধান, গুরুতপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ একটি হলো হাওররক্ষাবাঁধের দুর্নীতির সঙ্গে সরকারী দলের স্থানীয় নেতাকর্মীরা আপাদমস্তক ওতপ্রোত। সরকার দলের লোকেরা দুর্নীতির কাজটি করেছেন।
এইরূপ দুর্নীতি প্রকৃতপ্রস্তাবে একধরণের আত্মসাৎ। মুৎসুদ্দি ও দুর্নীতিবাজ রাজনীতিকদের যোগসাজসে সেটা সম্পন্ন হয়। কোনও প্রতিকার হতে সাধারণত দেখা যায় না। প্রতিটি সরকার সাধারণত এমন দুর্নীতির প্রতি নির্বিকার থাকে। এই দুর্নীতি হয়ে থাকে ক্ষমতাসীন সরকারি দলের ছত্রছায়ায়। আর এক প্রকারের দুর্নীতি করা হয় । সেটাকে বলা যায় নিয়মতান্ত্রিক দুর্নীতি। এইরূপ দুর্নীতি মুনাফামুখি মুক্তবজার অর্থনীতির একটি সাধারণ বৈশিষ্ট্য। সুনামগঞ্জের ফসলের ক্ষেত্রে এই নিয়মতান্ত্রিক দুর্নীতিটি হয়ে থাকে। সরকার থেকে ফসলের একটি দাম নির্ণয় করা হয়, সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ফসল কেনার ঘোষণা দেওয়া হয়। কিন্তু কাজের কাজ কছিুই হয় না। কার্যক্ষেত্রে কৃষক উৎপাদন খরচের কম দামে ধান বেচতে বাধ্য হয় এবং যারা কৃষকের ধান ১. কেনে, ২. পরে বেচে, ৩. ধান থেকে চাল করে সে-চাল বেচে, ৪. উৎপন্ন উপপণ্য (তুস, খোঁদ, কুঁড়া) বেচে এই সব ক্ষেত্রের প্রতিটি থেকে লাভ হয়। ধান একটি লাভজনক পণ্য। স্বাভাবিক যুক্তিতে এই পণ্যের লাভ কৃষকের জেবে জমা হওয়ার কথা, কিন্তু কৃষক পায় লোকসান নামক অষ্টরম্ভা। আর লাভের গুড় জমা হয় ফড়িয়া ব্যবসায়ীদের পকেটে। স্পষ্ট একটি শুভঙ্করের ফাঁকি। সহজ গণিত কারও না বুঝার কথা নয়। মুনাফামুখি অর্থনীতিও সেটা বুঝে এবং বুঝেশুনেই এই ন্যক্কারজনক রাজনীতিটা কৃষকের সঙ্গে করে। সরকার জানে না এমন নয়। আসলে সরকার কৃষক চালায় না। সরকার তারাই চালায়, যারা কৃষকের ধানের লাভের অংশটা মেরে খাওয়ার জন্যে একপায়ে খাড়া হয়ে থাকে কৃষকের ঘরে ফসল উঠার অপেক্ষায়। এই রাজনীতির খপ্পরে পড়ে শ্রমিকের বেতন বকেয়া পড়ে। শ্রমিক আন্দোলনে নামে। সরকার তাদেরকে জেলে পুরে। অপরদিকে মুৎসুদ্দির বেতন বাড়ে, ভাতা বাড়ে।
এটাই তার নীতি। রাজনীতিটা চালানো হয় কৃষকের বিরুদ্ধে, শ্রমিকের বিরুদ্ধে, তৃণমূলের গরিব মানুষের বিরুদ্ধে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে।
এমন অবস্থা কেবল সুনামগঞ্জে নয়। দেশের সর্বত্র প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রকারান্তরে দলীয় ছত্রছায়ায় থেকে দুর্নীতি সংঘটিত হচ্ছে। এইরূপ দুর্নীতির একটি তাত্ত্বিক নাম আছে। অনেকেই এই প্রকারের দুর্নীতিকে রাজনীতিক পৃষ্ঠপোষকতায় সংঘটিত দুর্নীতি বলেন। রাজনীতিক পৃষ্ঠপোষকতার ছত্রছায়ায় সংঘটিত দুর্নীতির সংবাদগুলো পাঠকেরা প্রতিনিয়ত পাঠ করেন, সমাজ পরিসরে সংঘটিত ঘটনা হিসেবে। এই সংবাদগুলো পাঠকের কাছে নারকেল ও চিনির মিশ্রণের সুমিষ্ট পুর পুরে দেওয়া পুলিপিঠার মতো। সংবাদের পুলিপিঠার মধ্যে পুরটি হলো দুর্নীতির ঘটনার পেছনের উৎসটির সংবাদ। দুর্নীতির উৎসের সংবাদটি পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদেরর পাতায় থাকে না। অর্থাৎ প্রকৃতপ্রস্তাবে পত্রিকা জনগণের কাছে আর একটি সংবাদ পরিবেশিত করছে। যে-টি সংবাদটিতে সরাসরি সাধারণত বলা হয় না । জনগণ সে অকথিত সংবাদটি ঠিকই স্বমেধাবুদ্ধির গুণে উপলব্ধি করেন এবং তাঁদের স্মৃতিতে ধারণসংরক্ষণ করেন, তাঁরা ভুলে যান না। সেটি হলো ক্ষমতাসীন সরকারের ভেতরে অনুপ্রবেশকারী দুর্নীতিবাজের খবর। এই দুর্নীতিবাজরা দলের সঙ্গে ভেড়ে দলের প্রভাব খাটিয়ে, দলকে ব্যবহার করে জনগণের সম্পদ লুট করার জন্যে, সুযোগ-সুবিধা আদায় করার জন্যে।
রাত আড়াইটার দিকে সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে জুয়ারিদেরকে গ্রেফতার করা হয়। অবাক না হয়ে উপায় নেই, সংগঠনটির কার্যালয় ব্যবহৃত হচ্ছে জুয়ার আসর হিসেবে এবং এর সংগঠনের সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে বসছে জুয়ার আসর। এই সংবাদ পাঠ-শ্রবণের পর কেউ যদি মন্তব্য করেন, ‘বলতেই হয়, আমাদের দেশের রাজনীতিক দলের তৃণমূলের সংগঠনগুলোও দুষ্টলোকের আখড়ায় পর্যবশিত হয়েছে এবং দেশের তৃণমূল পর্যায়ে রাজনীতিক আদর্শের চর্চার বিপরীতে দুর্নীতির চর্চা হচ্ছে।’ তাহলে এই ধরণের দুর্মুখ লোকের এইরূপ অভিযোগের উত্তরে রাজনীতির প্রধান পুরোহিতদের কোনও সদুত্তর আছে কি? জানি না। এটা নিতান্ত স্বাভাবিক যে, মুখে কুলুপ আঁটা ব্যতীত তাঁদের কোনও গত্যান্তর নেই।
মুক্তিযুদ্ধোত্তর সময়ে আমাদের দেশের রাজনীতিকে এই কুলাঙ্গাররা এমনভাবে নষ্ট করে দিয়েছিল যে, তৎকালে বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন মন্তব্য থেকে তার প্রমাণ মেলে। সে-সব মন্তব্য থেকে বুঝা যায় যে, সে-সময়টায় তিনি চাটুকার ও চাটারদল দ্বারা পরিবৃত ছিলেন এবং ষড়যন্ত্রকারীরা দখল করে নিয়েছিল রাজনীতির নিয়ন্ত্রকের আসন। সত্যিকার রাজনীতি চর্চা যাঁরা করতেন, সেইসব দেশপ্রেমিক রাজনীতিকদেরকে বঙ্গবন্ধুর থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছিল দুর্নীতিবাজরা। এবং শেষ পর্যন্ত স্বয়ং বঙ্গবন্ধুকেই ক্ষমতার আসন থেকে নয়, পৃথিবী থেকেই সরিয়ে দিয়েছিল এবং বিগদ্ধজনের কউ কেউ বলেন, প্রকারন্তরে ১৯৭১ সালের ১৭ ডিসেম্বর পরাজিত শক্তির প্রতিশোধের প্রতিজ্ঞা এইভাবে বাস্তবায়িত হয়েছিল।
মূলত দেশের সার্বিক পশ্চাদপদতার জন্য এই ভ- রাজনীতিকরাই দায়ী। এরাই একদা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পথ প্রশস্ত করেছিল বঙ্গুবন্ধুর চারপাশে অবস্থান করে। তাঁ প্রত্যেকটি জনহিতকর কর্মপরিকল্পনাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ব্যর্থ করে দিয়ে, তাঁকে জনবিচ্ছিন্ন করে তুলেছিল, তাঁর জনপ্রিয়াতাকে তলানিতে নামিয়ে দিয়েছিল। প্রকারান্তরে হত্যাকারীরা এই দুর্বলতার সূত্র ধরেই সাহসী হয়ে উঠেছিল। এই দুর্নীতিবাজরাই আবার ফিরে এসেছে রাজনীতির মুখোশ পরে এবং ভিড়ে গেছে বঙ্গন্ধুর প্রাণপ্রিয় দলের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পদে। এরই আলামত লক্ষ্য করা যাচ্ছে বিভিন্ন দিকের বিভিন্ন ঘটনায়। এরা রাজনীতির মুখোশ পরা দুর্নীতিবাজ। ক্ষমতার অপব্যবহার করতে এরা যুগে যুগে রাজনীতিক দলকে অপকর্মের ক্ষেত্র হিসবে ব্যবহার করে এসেছে । এরা মূলত চরিত্রগতভাবে মির জাফরের বংশধর। এরা বারংবার দেশের পশ্চাৎগামিতাকে অনিবার্য করে তুলেছে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র চরিতার্থ করে। এদের কারণে একদা দেশের স্বাধীনতার দাম পেিরশোধ করতে হয়েছে ৩০ কোটি মানুষের বুকের তাজা রক্ত ও ৫ লক্ষাধিক মা-বোনের ইজ্জত বিসর্জন দিয়ে। এই শেষ নয়, তারপরও রাষ্ট্রস্থপতি জাতির জনককে সপরিবারে প্রাণ দিতে হয়েছে। তদুপরি দেশ যে ক্ষতি ও পশ্চাদপদতার আবর্তে নিপতিত হয়েছে তার দুর্বিষহ ধকল সইতে হচ্ছে এখনও পর্যন্ত। বঙ্গবন্ধু কন্যাকে গলদগর্ম হয়ে কাজ করতে হচ্ছে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যে।
এদের হাত থেকে দেশকে বাঁচানোর রাজনীতিক আদর্শ পরিপোষণের কারণে, অর্থাৎ তিনি এই দেশের সকল কৃষক শ্রমিক গবির মানুষের আর্থনীতিক মুক্তি চেয়ে ছিলেন বলে, আমরা বঙ্গবন্ধুকে হারিয়ে ছিলাম। তারা তাঁকে সহ্য করেনি। তারা বাংলাদেশের সত্যিকার ত্রাণ কর্তাকে সেদিন হত্যা করে দেশকে পিচিয়ে দিয়েছে কয়েকশ বছর। বঙ্গবন্ধুর নীতি ও আদর্শের ছায়ায় আশ্রয় নিয়ে কেউ জুয়া খেলবে, কেউ চাঁদাবাজ হবে, কেউ ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করবে, কেউ নদী দখল করে দালান তোলবে, কেউ ধর্ষণ করে বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াবে, কেউ ইয়াবা ব্যবসা করবে, কেউ নির্মাণকাজ না করেই বরাদ্দের টাকা উত্তোলন করে নিয়ে যাবে, কেউ ঘুস খাবে, কেউ গণখুনি হবে, কেউ সকল ব্যবসা বাণিজ্য নির্মাণ কাজের বখড়া খাবে, কেউ নুসরাতকে পুড়িয়ে মারার ষড়যন্ত্র করবে, রাজাকারকে মুক্তিযোদ্ধার সনদ বিতরণ করবে, মুক্তিযোদ্ধার কোটায় রাজকারের সন্তানকে মুৎসুদ্দি বানাবে, বঙ্গবন্ধুর নীতির নামে এসব কী করে হয়? রাজনীতি এমন করে চলতে পারে না। দুর্নীতির কাছে অত্মসমর্পণ করার নিহিতার্থ হলো, যে-কোনও রাজনীতির পক্ষে আত্মহত্যার নামান্তর। এই জন্যে বোধ করি কেউ কেউ বলে থাকেন যে, বাংলাদেশ বর্তমানে রাজনীতিক শূন্যতার কাল অতিক্রম করছে।
লেখক: কবি, প্রাবন্ধিক, গবেষক, বুদ্ধিজীবী এবং প্রবীণ সাংবাদিক।