স্টাফ রিপোর্টারঃ
সুনামগঞ্জ জেলার মধ্যনগর থানার বংশীকুন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ডের ভিজিএফ কার্ডধারীরা চাউল না পাওয়াে অভিযোগ ওঠেছে। শুক্রবার (৯ই আগষ্ট) বংশীকুন্ডা (দঃ) ইউনিয়নে সরকারের ঈদ উল-আযহার বিশেষ বরাদ্দের ভিজিএফ কার্ডধারীদের মধ্যে ১৫ কেজি করে চাউল বিতরন করা হয়।ঐ ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ওয়ার্ডের ৬০ জন ভিজিএফ কার্ডধারীর মাঝে কোনো চাউল বিতরন করেননি চেয়ারম্যান আজিম মাহমুদ।
২ নং ওয়ার্ডের ভিজিএফ কার্ডধারী দাতিয়াপাড়া গ্রামের মিরাজ আলীর ছেলে আলাল উদ্দিন(৩৬) বলেন, আমারা ভিজিএফের কার্ড নিয়ে চাউল আনতে গেলে আমাদের চাউল দেওয়া হয়নি।
সাতুর গ্রামের ভিজিএফ কার্ডধারী মৃত আব্দুর রহমানের স্ত্রী ছালেমা খাতুন(৭০) বলেন,সকাল থেকে আমাদের সারাদিন প্রচন্ড গরমের মধ্যে বসিয়ে রাখা হয়।কিন্তুু আমাদের কোনো চাউল দেওয়া হয়নি। তাই আমরা শূন্যহস্তে বাড়িতে চলে আসি।
ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মোঃ ইউনূছ মিয়া বলেন, আজ সকালে আমার ওয়ার্ডের ৬০ জন ভিজিএফ কার্ডধারীকে নিয়ে আমাদের বংশীকুন্ডা দক্ষিন ইউনিয়ন পরিষদের সামনে চাউল আনতে গেলে ইউডিসির ভারপ্রাপ্ত কম্পিউটার অপারেটর ময়না মিয়া বলে আমাদের ইউপি চেয়ারম্যান আজিম মাহমুদ আপনার সাথে পূর্ব শুত্রুতার জের থাকার কারনে আপনার কার্ডধারীদের মধ্যে চাউল বিতরনে নিষেধ করেছেন। পরে আমি সকল ইউপি সদস্যদের নিয়ে চেয়ারম্যান মহোদয়কে অনুরোধ করি যাতে এই অসহায় মানুষ গুলোর মধ্যে ভিজিএফ এর চাউল গুলো বিতরন করেন। কিন্তু তিনি আমার কথা রাখেনি। পরে আমি আমি আমার কার্ডধারীদের নিয়ে চলে আসি।
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিম মাহমুদ এর সাথে মুঠোফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করলে তিনি কল রিসিভ করেননি।
এই বিষয়ে ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ওবায়দুর রহমান বলেন, অভিযোগটির কথা আমি শুনেছি।আমি চেয়ারম্যান আজিম মাহমুদ কে বলে দিব যাতে কার্ডধারীদের মধ্য চাউল গুলো বিতরন করা হয়।