বিশেষ প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। চলতি অর্থ বছরে (২০১৫-২০১৬) ‘সমগ্র বাংলাদেশের ৬৪ জেলায় চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন নির্মাণ প্রকল্প’ নামে গণপূর্ত বিভাগ এই নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন কল্পে ইতোমধ্যে টেন্ডারকাজ সম্পন্ন করেছে। ২০১৯ সনের মধ্যে ১০তলা বিশিষ্ট সর্বাধুনিক ভবনটির কাজ শেষ হওয়ার কথা। বর্তমানে সুনামগঞ্জে গণপূর্ত অধিদপ্তরের অধীনে বাস্তবায়নাধীন এই প্রকল্পটিই জেলার সর্ববৃহৎ প্রকল্প বলে সংশ্লিষ্টরা জানান। এদিকে আদালতের কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত লোকজন জানান, এই আদালত ভবনটি নির্মিত হলে সাধারণ বিচারপ্রার্থীরা উপকৃত হবেন।
সুনামগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগ সূত্রে জানা গেছে সম্প্রতি জজ কোর্টের পূর্বে ১.৭৫ একর জমি ৫ কোটি ৫১ লাখ টাকা মূল্যে অধিগ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ৬৯ কোটি টাকা প্রাক্ষলণ ব্যায়ে ১০ তলা বিশিষ্ট ভবন নির্মাণের লক্ষ্যে সিলেট গণপূর্ত অধিদপ্তর টেন্ডার আহ্বান করেছে। শীঘ্রই নির্মাণ কাজ শুরু হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
জান গেছে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নির্মাণের পর থেকেই চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। স্থানাভাবে গাদাগাদি করে আদালতের কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্তদের কাজ করতে হয়। এতে অনেক সময় ব্যয় হয়। এতে বিচারপ্রার্থীদেরও নানা সমস্যা হয়। সরকার নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগকে পৃথক করার পর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত স্থানান্তরের চিন্তা-ভাবনা শুরু করে সরকার। এরই লক্ষ্যে সম্প্রতি সরকার সারা দেশে সর্বাধুনিক ও সুবিধা সম্পন্ন চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। ‘সমগ্র বাংলাদেশের ৬৪ জেলায় চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন নির্মাণ প্রকল্প’ এর অধীনে সুনামগঞ্জেও সর্বাধুনিক ১০ তলা বিশিষ্ট ভবনের নির্মাণ প্রক্রিয়া শুরু হয়।
সাধারণ বিচারপ্রার্থী ও আইনজীবীবৃন্দ জানান, চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নির্মাণ কাজ শেষ হলে বিচারপ্রার্থীরা সুবিধা পাবেন। এজলাস বাড়বে। স্বাধীনভাবে ও বড় পরিসরে সংশ্লিষ্টরা কাজ করতে পারবেন। এতে সাধারণ মানুষ উপকৃত হবে।
সুনামগঞ্জের সিনিয়র আইনজীবী স্বপন কুমার দেব বলেন, চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলে বিচারপ্রার্থী সাধারণ লোকজন উপকৃত হবেন। এজলাস বাড়বে। এতে মামলার জটও কমবে। কারণ অনেক সময় একই এজলাসে একাধিক বিচারককে কাজ করতে হয় পৃথকভাবে। এতে বিচারপ্রার্থীদের ভোগান্তি হয়। তাছাড়া আদালতের কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্তরাও স্থান সংকটের কারণে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেনন না। এই ভবনের কাজ শেষ হলে বিচারক, বিচারপ্রার্থীসহ সাধারণ মানুষেরই উপকার হবে।
সুনামগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু জাফর সিদ্দিক বলেন, গণপূর্ত অধিদপ্তরের অধীনে এই জেলায় বাস্তবায়িত সর্ববৃহৎ প্রকল্প এটি। টেন্ডার আহ্বানের পর নির্মাণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ২০১৯ সালেই নির্মাণকাজ শেষ হবে। সুনামগঞ্জের সর্বাধুনিক ও সর্ববৃহৎ একটি ভবন হবে এই আদালত ভবনটি।