জগন্নাথপুর প্রতিনিধি ::
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুেের নিখোঁজ থাকা বিএনপির দুই নেতার সন্ধান পাওয়া গেছে।
আজ শনিবার দুপুরে জগন্নাথপুর থানার এসআই হাবিবুর রহমান হাবিব পিপিএম এতথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, জগন্নাথপুর থানায় নিখোঁজ হওয়ার বিষয়েএকটি জিডি দায়ের করা হয় । যার পরিপ্রেক্ষিত আমরা তদন্ত শুরু করি। তদন্তের এক পর্যায়ে আমরা জানতে পারে নিখোঁজ দুই বিএনপির নেতা অস্ত্র-গুলিসহ ঢাকায় আইনশৃংখলা বাহিনীর নিকট আটক করেছে। তাদের সঙ্গে দুলন মিয়া নামে আরেক যুবক আটক হয়েছে। এবিষয়ে অস্ত্র আইনে ঢাকার যাত্রাবাড়ি থানায় একটি মামলা হয়েছে। মামলার একটি কপি ই-মেইলে আমরা পেয়েছি।
জগন্নাথপুর থানা পুলিশ ও মামলার সুত্রে জানা যায়, গত ৫ সেপ্টেম্বর বিকেলে রাজধানীর যাত্রাবাড়ির সায়দাবাদ এলাকা অস্ত্র ও গুলির খবর পেয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের স্পেশাল এ্যাকশন আর্মস এনফোর্সমেন্ট টিমের পুলিশ পরির্দশন (নিরস্ত্র) শেখ মনিরুজ্জামান এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ অভিযান চালায়। অভিযানকালে নিখোঁজ থাকা জগন্নাথপুর উপজেলার যুবদল নেতা জগন্নাথপুরের রানীগঞ্জ ইউনিয়নের ঘোষগাঁও গ্রামের মৃত মন্তাজ উল্লার ছেলে আনসার মিয়া ও একই ইউনিয়নের টিয়াগাঁও গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারন সম্পাদক আব্দুস শহিদ ও বাক্ষ্রণবাড়িয়ার জেলা সদরের পুনিয়াউট এলাকার মৃত আশরাফ আলীর ছেলে দুলনকে আটক করা হয়। এসময় অপর আরো দুই, তিন ব্যক্তি পালিয়ে যায়। আটককালে আব্দুস শহিদের নিকট থেকে তিনটি বিদেশি রিভলবার ও ১৬ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। আটককৃত বিএনপির দুই নেতাসহ অপরদের আসামীদের বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ি থানায় অস্ত্র আইনে মামলা হয়েছে। বর্তমানে তারা ঢাকার যাত্রাবাড়ির ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের স্পেশাল এ্যাকশন গ্রুপের হেফাজতে রিমান্ডে আছে বলে জগন্নাথপুর থানা পুলিশ জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) এক সঙ্গে মোটরসাইকেল যোগে নবীগঞ্জের উদ্যেশ্যে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন বিএনপির দুই নেতা। ৪ সেপ্টেম্বর যুবদল নেতা আনসার মিয়ার ভাগ্নে মুহিত মিয়া জগন্নাথপুর থানায় জিডি দায়ের করেছেন। যার নং ১৯৭।