হাওর ডেস্ক::
নিজের ক্যান্সার রোগ গোমূত্র খেয়ে সেরেছে বলে দাবি করেছিলেন ভারতের ভোপালের বিজেপি সাংসদ প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর। সে সময় তার ওই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে ভারত তো বটেই পাশের দেশগুলোতেও সমালোচনা কম হয়নি। আরএসএস ও বিজেপির সঙ্গে গোমূত্রের যোগসূত্র চিরন্তন বলেও কটাক্ষ করেছেন অনেকে।
তবে, দলীয় সাংসদের সেই বিতর্কিত দাবি সমর্থন করলেন ভারতের স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী অশ্বিনী কুমার চৌবে। তিনি সাফ জানিয়ে দিলেন, ক্যান্সারের ওষুধ তৈরিতে গোমূত্র ব্যবহারের বিষয় নিয়ে চিকিৎসা বিষয়ক মন্ত্রণালয় গুরুত্ব সহকারে কাজ করছে।
গত শনিবার তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটোরে সাংবাদিকের সঙ্গে আলাপকালে কেন্দ্রীয়মন্ত্রী বলেন, বেশ কয়েকটি ধরনের ওষুধ তৈরিতে গোমূত্র ব্যবহৃত হয়। এটি ক্যান্সারে মতো ভয়ঙ্কর রোগের চিকিৎসার জন্যও ব্যবহার হয়ে থাকে।
তিনি আরো বলেন, ভারতের গরুর প্রস্রাব এই কাজে ব্যবহৃত হয়। এ ব্যাপারে গুরুত্ব সহকারে কাজ হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকার গরু সংরক্ষণ ও তাদের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কাজ করছে। ডায়াবেটিস এবং ক্যান্সারের মতো অসংক্রামক রোগগুলো পুরো পৃথিবীর কাছেই একটা চ্যালেঞ্জ। আমরা এখনো এই রোগ সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করার দাবি করতে পারি না। তবে এখন আমরা এগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। আরো গবেষণা চলছে। খুব তাড়াতাড়ি এ বিষয়ে আমরা সফল হবো বলেই আশা করছি।
তিনি আরো বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য আয়ুষ্মান ভারতকে প্রধানমন্ত্রী জন স্বাস্থ্য যোজনা (জেএআই)-এর অধীনে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব বিবেচনা করছে। আয়ুর্বেদ, যোগব্যায়াম ও প্রাকৃতিক চিকিৎসা, ইউনানি, সিদ্ধা ও হোমিওপ্যাথির বিকল্প ওষুধের ক্ষেত্রে উন্নয়ন, শিক্ষা এবং গবেষণা করার উপরেও জোর দেওয়া হয়েছে।
তবে শুধু ভোপালের সাংসদ বা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীই নন, গত মাসে গরু নিয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি করেছিলেন ভারতের উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াত। দেরাদুনের একটি অনুষ্ঠানে তিনি বলেছিলেন, গরুই একমাত্র পশু যে অক্সিজেন ছাড়ে। গরুর কাছাকাছি বসবাস করলে যক্ষ্মারোগের নিরাময় হয়।