চারিদিকে মানুষের বিষাক্ত শ্বাস।দূষিত মেঘ দগ্ধ হয়ে ঝরে বৃষ্টি,এসিড রেইন।শিশুদের কোলাহল নিয়ে ভোরের আলোয় সূর্য উঠেনা।
অনিরাপদ জীবনে মৌলিক অধিকারে যুক্ত হয় নিরাপত্তা। কে দিবে?কাকে দিবে? সবই প্যারালাল!
রাষ্ট্রহীন মানুষের মিছিল লম্বা হয়।অসন্তোষে বৃক্ষ দ্বীপ গর্জে উঠে।বাঘেরা গর্জে উঠে,গর্জে উঠে সমুদ্র।
মানুষের বিষ বীক্ষা অবজ্ঞা করে সব কিছু। ক্ষমতার গর্জনের আদিমতার কাছে অসহায় পশুর মতো দল বেঁধে দৌঁড়ায় সীমান্তে কিছু মানুষ।যাঁদের আকাশ ছিল,ভূমি ছিল,সংসার ছিল। আজ কিছু নেই!
কাঁটাতারের পাশে অস্ত্র,গুলি নিয়ে অপেক্ষায় আছে নিরাপত্তা বাহিনী ! জঙ্গলের রঙে সাজিয়েছে যাঁরা নিজেদের।মনে রাষ্ট্রীয় নির্দেশ।ভিন মাটির মানুষের জন্য।।
তবু পশু ও যদি হতো জায়গা দেওয়া যেতো সংরক্ষিত বনে। বাড়তো বাঘ,বনগরু,বানর,হরিণের সংখ্যা।হয়তো বিরল প্রজাতির পশুর সন্ধানের খবর হতো বিশ্বময়।
কী বিচিত্র মানুষের রাষ্ট্র ! সর্বাধিক ভোটারের জন্য, ক্ষমতার জন্য, মানুষ আজ অন্ধ,বিভক্ত। ধর্মীয় সংখ্যা গুরু,সংখ্যা লঘু নামে।কেউ মানুষ না। মানুষ না!
বস্তাবন্দী শিশুর কান্না ডাস্টবিনে মিশে দূর্গন্ধে। লজ্জায় মাছি আসেনা।প্রেম আর পাপ একাকার হয়।কষ্টে ফলা গর্ভের ফসল ছুঁড়ে ফেলে আত্মহত্যা করে মা।
!
মৃত্যুর আগে বলে যায়,চিৎকার করে বলে যায়,’এ পৃথিবী মানুষের না। প্রেমের না,প্রেমের না’।