স্টাফ রিপোর্টার::
একটি আন্তজেলা জলমহালের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলা ও হবিগঞ্জ উপজেলার আজমীরিগঞ্জ এলাকার লোকদের মধ্যে বুধবার দুপুরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। এর আগেও গত বছর একই সময়ে মৎস্য আহরণের মওসুমে এই জলমহালটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, শাল্লা উপজেলার কালনী নদীর শাখা মরাখালে শাল্লার মির্জাকান্দ এলাকায় একটি জলমহাল রয়েছে। এই জলমহালের কিছু অংশ সুনামগঞ্জের শাল্লা এবং আরেক অংশ হবিগঞ্জ জেলার আজিমিরিগঞ্জ উপজেলার মধ্যে পড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এই জলমহালে মৎস্য আহরণ নিয়ে দুই এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে বিরোধ চলছে। এর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে গত বছর দুই এলাকাবাসী সংঘর্ষে জড়িয়েছিল। এতে পুলিশ সহ অর্ধ শতাধিক আহত হয়। গতকাল বুধবার দুপুরে শাল্লা উপজেলার মির্জাকান্দা গ্রামের আব্দুল মান্নান মেম্বার মৎস্য আহরণ করতে গেলে অপর পক্ষ তাদের উপর সংগঠিত হয়ে হামলা চালায়। এতে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ও ধাওয়া সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন। আহতরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন। এ ঘটনায় উত্তেজনা বিরাজ করায় ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
শাল্লা থানার ওসি বজলার রহমান বলেন, মির্জাকান্দ এলাকায় অবস্থিত মরাখাল জলমহালটি দুই জেলার দুই উপজেলার সীমানায় অবস্থিত। এ মহালটি আহরণ নিয়ে প্রতি বছরই উত্তেজনা থাকে। গত বছরও সংঘর্ষ হয়েছে। এবার কয়েকদিন আগে এ নিয়ে উত্তেজনা দেখা দিলে আমরা উভয় পক্ষকে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মিমাংস করার আহ্বান জানিয়েছিলাম। তারা আমাদের আশ্বস্থ করলেও আজ সংঘর্ষে জড়িয়েছে। পরে পুলিশ, গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।