বিশেষ প্রতিনিধি, শাল্লা:
শাল্লায় দু্র্গোৎসবে আনন্দের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে মন্ডপে মন্ডপে প্রাচীন যাত্রা পালা ও ধর্মীয় ঢপযাত্রা পালা। উপজেলার ৩৩ টি মন্ডপের প্রায় প্রতিটিতেই এ ধরনের যাত্রাপালার ফলে পুজার আনন্দ অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। ব্যতিক্রমী আয়োজনে দুর্গোৎসব উদযাপন করছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। অন্যান্য ধর্মের লোকজনও সার্বজনীন উৎসবে শরিক হয়ে আনন্দ উদযাপন করছেন। সপ্তমী পূজা’র রাত থেকেই আনন্দ অনুষ্ঠান উপভোগ করছেন সকলে।
শাল্লায় এবার ৩৩ টি মন্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব হচ্ছে। এরমধ্যে ৬ টি পূজা মমন্ডপে ১৫ দিন আগে থেকেই যাত্রা’র মহড়া চলছে। শনিবার থেকেই এসব মন্ডপে যাত্রাপালা চলছে। উপজেলার আনন্দপুর সার্বজনীন দুর্গা মন্ডপে তিনদিন রাতে যাত্রাপালা মঞ্চস্থ হবে, সন্তান হারা মা, সংসার হলো শ্মশান ও মা হলো বন্দি । নিয়ামতপুর সার্বজনীন পূজা মন্ডপে হবে, নিচু তলার মানুষ, জেল থেকে বলছি, রাজ সিংহাসন, উপজেলা সদরের সার্বজনীন পূজা মন্ডপে দেবী সুলতানা, কলঙ্কিনী বধু ও অনুসন্ধান। মুক্তারপুর সার্বজনীন পূজা মন্ডপে রূপবান, জীবন নদীর তীরে ও একটি পয়সা। শ্বাসখাই সার্বজনীন পূজা মন্ডপে
বাগদত্তা, রূপবান ও শসীবাবু’র সংসার, চাকুয়া সার্বজনীন পূজা মন্ডপে আজকের সমাজ, রূপবান ও কলঙ্কিনী বধু মঞ্চস্থ হবে। এই উপজেলার অন্য আরও কয়েকটি দুর্গা মন্দিরে হবে ধর্মীয় ঢপযাত্রা।
শাল্লা উপজেলা পুজা উদযাপন কমিটির সভাপতি বিধু ভূষণ রায় জানালেন, শনিবার থেকে সোমবার প্রতিদিনই রাতভর উপজেলার প্রতি মন্ডপে উৎসব চলছে । নেত্রকোণা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ থেকে যাত্রাভিনেতারা এসেছেন এই এলাকায়। এছাড়া স্থানীয় শিল্পীরা আগে থেকেই মহড়া চালিয়েছে আনন্দ বেগবান করার লক্ষে। এই উপজেলায় হিন্দু- মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের তরুণরা যাত্রা পালায় অভিনয় করছেন। এখানে উভয় সম্প্রদায়ের তরুণ-তরুণিরা যাত্রা পালায় অভিনয় করে সম্প্রীতির অটুট বন্ধন আরো সম্প্রসারিত করেছে বলে তিনি জানান ।