হাওর ডেস্ক:: গত ১ অক্টোবর সুনামগঞ্জ জেলা আ. লীগের প্রতিনিধিসভায় সুনামগঞ্জ-১ আসনের এমপির বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও দলে অনুপ্রবেশকারীদের নেতা হিসেবে বক্তব্য দিয়ে আলোচনায় শামীম আহমদ মুরাদ। গত ৫ অক্টোবর তিনি আরেকটি স্্টেটাস দিয়েছন। এখানে তাকে হুমকি ধমকিসহ নানা অভিযোগ এনেছেন। তার স্টেটাসটি হুবহু তুুুলে ধরা হলো।
“নাটকের মহরা চলছে।
চ্যালেঞ্জের জবাব না দিয়ে ষড়যন্ত্র ও নোংরা খেলায় মেতে উঠেছেন জনাব মোয়াজ্জেম হোসেন রতন।
বাংলা সিনেমার ভিলেন যেমন সত্যের মুখোমুখি হতে না পেরে অন্ধকারে ষড়যন্ত্র ও মিথ্যা নাটক সাজায় তেমনি তিনি আমার অভিযোগের কোনও জবাব দিতে পারছেন না। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ তাকে তার অভিযোগের জবাব লিখিতভাবে দিতে বলেছেন। তিনি যে ২০০৮ সালের পুর্বে আওয়ামী লীগ করেছেন তার প্রমাণ চেয়েছেন। তিনি যে চাঁদাবাজি আর লুটপাট করছেন না তার ব্যাখ্যা চেয়েছেন। তার বিরুদ্ধে যখন গোপন তদন্ত চলছে, তার সাথে যারা লুটপাট ও চাঁদাবাজির সাথে জড়িত আছে, তাদের গোপন তথ্য নেয়া হচ্ছে, তখন এইসব কিছুকে ঢাকার জন্যে, তদন্তকাজে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করার জন্যে, তিনি নতুন নতুন নাটক সাজাচ্ছেন।
সেই নাটকের অংশ হিসাবে তিনি
প্রথমেই বিদেশ পরিবার সহ পাড়ি জমিয়েছেন। যাতে দুর্নীতির টাকা বিদেশে স্থানান্তর করা যায়। সেই সাথে তার পরিবারকে আগেই বিদেশে রাখার ব্যবস্থা করে আসছেন।
দ্বিতীয়ত, দেশে তার অনুগত হালুয়ারুটি আর দুর্নীতির ভাগীদার লোকদের দিয়ে প্রতিবাদ সভা ও সমাবেশ করাচ্ছেন। তার পোষা লোকদের দিয়ে ফেইসবুকে মিথ্যা তথ্য প্রচার করাচ্ছেন।
তৃতীয়ত, দেশ বিদেশের বিভিন্ন লোক দিয়ে তিনি আমার ও আমার পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক অভিযোগ করানোর চেষ্টা করছেন।
চতুর্থত, তার ভাই এবং সুনামগঞ্জের তার দুর্নীতির অংশীদার সাবেক ছাত্রনেতা গতকাল থেকে চেষ্টা করছেন, আমার বা পরিবারের বিরুদ্ধে বাদী বা ফরিয়াদি বা অভিযোগকারী তৈরি করতে, যারা বিভিন্ন টাকা পয়সা লেনদেনের অভিযোগ তুলে মুল বক্তব্যকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করবেন।
আমি পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, এতোদিন কেন এই অভিযোগ উথ্যাপন করেন নাই। আমি দুইটি উপজেলা নির্বাচন করেছি। সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছি। জেলা পরিষদের সদস্য নির্বাচন করেছি। তখন থেকে কোনও ভোটার আজ পর্যন্ত আমার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ কেউ করতে পারেনি।
সুতরাং আজ কেন এই অভিযোগ?
এইসব অভিযোগ করে তাকে বাঁচাতে পারবেন না।
বরং দুর্নীতি আর লুটপাটের অংশীদার হিসাবে তার সাথে একদিন আপনাদেরকেও বিচারের আওতায় আনা হবে।
বিচারের সম্মুখীন হতেই হবে। জননেত্রীর নির্দেশ। কেউ পার পাবে না।
জয় বাংলা। জয় বঙ্গবন্ধু।”