বিশেষ প্রতিনিধি, লন্ডন:
বিমান বাংলাদেশের ব্রিটেন কান্ট্রি ম্যানেজার হারুন খান বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিমান বাংলাদেশের উর্ধ্ধতন কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপে বিমান বাংলাদেশ ঘিরে ব্রিটেনে যে সিন্ডিকেট বানিজ্য ছিলো সেটি বন্ধ করা হয়েছে। বিমান বাংলাদেশের মাধ্যমে কার্গো পাঠানোর যে একক মনোপলি ব্যবসা ছিলো সেটি বন্ধ করে বাজারে প্রতিযোগিতা মূলক পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে নতুন করে ৩ ক্যাটাগরিতে আরো ১১ টি কার্গো প্রতিষ্ঠানকে বিমান বাংলাদেশ ব্রিটেনের অফিসিয়াল কার্গো সেইলস এজেন্ট (সিএসএ) প্রদান করা হলো। ১১টি প্রতিষ্ঠানসহ ১৩টি প্রতিষ্ঠানই ক্যাটাগরি অনুযায়ী প্রতি সপ্তাহের বুকিং পাবেন।
তিনি আরো বলেন, অন্য এয়ার লাইন্স যেখানে ৫/৬ দিনে কার্গো পাঠাবে সেখানে বিমান কার্গো ক্যারিয়ারে মাল দেয়ার পর ২৪ ঘন্টায় বাংলাদেশে পৌছে দেয়ার নিশ্চয়তা দিচ্ছে। সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় ব্রিকলেনে ব্রিটিশ বাংলাদেশী কার্গো এজেন্ট এসোসিয়েশন (বিবিসিএএ) এর সদস্যদের সাথে কার্গো সেলস এজেন্ট চুক্তি বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে একথাগুলো বলেন।
সংগঠনের সাধারন সম্পাদক দেওয়ান সৈয়দ আব্দুর রবের সঞ্চালনায় ও দেলোয়ার আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, আবির জেনারেল হাসপাতালের চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমেদ হৃদয়। এছাড়া আরো বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট সাংবাদিক মুসলেহ উদ্দিন আহমেদ, লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ আ স ম মাসুম, বিমান বাংলাদেশের কর্মকর্তা নাসিরুল হক, আরিফুর রহমান, এম এ তুহিন, ব্রিটিশ বাংলাদেশী কার্গো এজেন্ট এসোসিয়েশনের জয়েন সেক্রেটারী এম এ লাকী।
সভায় বক্তারা বলেন, দিনে দিনে কমিউনিটিতে বাংলাদেশে কার্গো পাঠানোর একটি বড় বাজার তৈরি হয়েছে। এতে কর্মসংস্থানের পাশাপাশি বিমান বাংলাদেশের মাধ্যমে বাংলাদেশও আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে। সিন্ডিকেট ভেঙ্গে কমিউনিটিতে সুষম প্রতিযোগিতামূলক বাজার সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখায় বর্তমান কান্ট্রি ম্যানেজার হারুন খানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান বক্তারা।
বিমানের নতুন চুক্তিতে ক্যাটাগরি ১ এর আওতায় ডিজিকম কার্গো, ইষ্ট এন্ড লজিষ্টিক, ই ওয়ান কার্গো, ইউকে কার্গো এবং জেনারেল কার্গো, ক্যাটাগরি ২ এর আওতায় মবিলিংক এবং আরএনকে, ক্যাটাগরি ৩ এর আওতায় ডোর টু ডোর, কার্গো ওয়্যারহাউজ, আল্টিমেট কার্গো এবং শাহজালাল কার্গোকে নতুন কার্গো সেলস এজেন্ট হিসাবে চুক্তি প্রদান করা হয়। উল্লেখ্য, এই ১১টি প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন ধরেই কমিউনিটিতে কার্গো সার্ভিস দিয়ে আসছিলেন। তাদেরকেই বিমান বাংলাদেশ অফিসিয়াল চুক্তির আওতায় নিয়ে এসেছে।