স্টাফ রিপোর্টার
অগঠনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় গুটি কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে তাহিরপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমিটি ঘোষনা করায় কমিটিকে একনায়কতান্ত্রিক ও অবাঞ্চিত ঘোষণা করে প্রতিবাদ সভা করেছেন উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ ও সন্তান কমান্ড নেতৃবৃন্দ।
প্রতিবাদ সভায় মুক্তিযোদ্ধাগণ বলেন, ১০ অক্টোবর দুপুরে উপজেলা পাবলিক লাইব্রেরী মিলনায়তনে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের বিভিন্ন হিসাব নিকাশ নিয়ে একটি সভা ডাকা হয়। প্রায় ২৩ জন মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সু-কৌশলে একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেয় রফিকুল ইসলাম। এ সময় সভার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল গণি সভায় প্রশ্ন তুলেন মিটিং ডাকা হয়েছে হিসাব নিকাশের জন্য কোন কমিটি গঠনের জন্য নয়। কমিটি গঠন করতে হলে তাহিরপুর উপজেলায় ৩১৯ জন মুক্তিযোদ্ধা রয়েছে তাদের সবাইকে নিয়ে মিটিং করে সর্বসম্মতিক্রমে কমিটি গঠন করা হবে।
শনিবার দুপুরে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় বক্তরা বলেন,গতকাল একটি জাতীয় দৈনিকে মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলামকে তাহিরপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহবায়ক করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। যা সম্পুর্ন মিথ্যে,মনগড়া ও বানোয়াট । এ কমিটির কোন বৈধতা নেই উল্লেখ করে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক কমান্ডার মো: আবদুল গণি বলেন,কমিটি গঠন করতে হলে উপজেলার সকল মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে সভা ডেকে গঠনতান্ত্রিকভাবে কমিটি গঠন করতে হবে। এরকম মনগড়াভাবে গঠিত কমিটি আমরা অবাঞ্চিত ও প্রত্যাখান করলাম।
বীর মুক্তিযোদ্ধা ও যুদ্ধকালীন কমান্ডার মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে যা প্রচার হচ্ছে তা সম্পুর্ন মিথ্যে ও বানোয়াট।
বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক কমান্ডার রৌজ আলী বলেন,ব্যাংক ভাড়া ও হিসাব নিকাশের কথা বলে মিটিং ডেকে কমিটি গঠন এটি সম্পুর্ন পরিকল্পিত। যা আমরা মুক্তিযোদ্ধারা মানি না।
মুক্তিযোদ্ধা গিয়াস উদ্দিন বলেন,আমরা কিছু জানি না হিসাব নিকাশ নিকাশ নেওয়ার জন্য মিটিং করেছি। রফিকুল ইসলাম দীর্ঘদিন কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। হিসাব জানতে চেয়েছি কিন্তু তিনি সঠিক হিসাব দিতে পারেন নি।
মুক্তিযোদ্ধা সন্তান হোসাইন শরীফ বিপ্লবের সঞ্চালনায় ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা জালাল উদ্দীন, শাহানুর মিয়া,আবদুল গনি,মশ্রব আলী,আব্দুর রউফ,হারুনুর রশীদ, আবদুল মজিদ,করম আলী,রাব্বানী মিয়া,কুদরত আলী,শামসু মিয়া। মুক্তিযুদ্ধা সন্তান খেলু মিয়া,সামায়ুন কবির,এমদাদ নুর, গুলশান মিয়া,আশরাফুল আলম,শাহান শাহ,ফয়েজ মিয়া,ফরমুজ আলী,এনামুল হক,মালু মিয়া,মঞ্জুর আলী,মো নুরুল ইসলাম, আবদুল আওয়াল,লিমন মিয়া,সফর উদ্দিন, খসরু ওয়াহিদ চৌধুরী, সামায়ুন মিয়া,সুজাত মিয়া,উজ্জ্বল মিয়া,মতি মিয়া,ফখর উদ্দিন, ফেরদৌস আলম,রাজা মিয়া,বিল্লাল মিয়া,জামাল মিয়া প্রমুখ।