1. haornews@gmail.com : admin :
  2. editor@haor24.net : Haor 24 : Haor 24
শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:৫৪ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
জামালগঞ্জে নবাগত জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় সভা সিলেটে শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসারকে অপসারণের দাবিতে গণস্বাক্ষর কার্যক্রম ২৫০ শয্যা হাসপাতালে সেবার মান বাড়ানোর দাবিতে মতবিনিময় সুনামগঞ্জে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া ও মিলাদ বন্যার্তদের সহায়তায় সুনামগঞ্জে শিল্পকলা একাডেমির ব্যতিক্রমী ছবি আঁকার কর্মসূচি জগন্নাথপুরে শিক্ষিকা লাঞ্চিত: দোষীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতাবিরোধী সকল কালাকানুন বাতিলের দাবি সাবেক ছাত্রলীগ নেতা পান্নার মরদেহ হস্থান্তর করলো মেঘালয় পুলিশ কাদের সিদ্দিকী বললেন: বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ আর শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ এক নয় বাংলাদেশে সাম্প্রতিক বন্যায় ২০ লাখ শিশু ঝুঁকিতে : ইউনিসেফ

‘নম্বর মূল্যায়নে’ প্রাথমিক শিক্ষক বদলি

  • আপডেট টাইম :: শনিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০১৯, ৫.০৫ এএম
  • ২০২ বার পড়া হয়েছে

হাওর ডেস্ক ::
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বদলি নীতিমালায় আরেক ধাপ পরিবর্তন আনা হচ্ছে। বদলির ক্ষেত্রে অনলাইনে আবেদনের পর সফটওয়্যারের মাধ্যমে যোগ্যতার বিভিন্ন মাপকাঠি পর্যালোচনা করে নম্বর প্রদান করা হবে। এজন্য ১০০ নম্বর নির্ধারণ করা হতে পারে। সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়া আবেদনকারী পছন্দের স্থানে বদলি হওয়ার সুযোগ পাবেন।
বছরজুড়ে চলবে প্রাথমিকের শিক্ষক বদলির এ কার্যক্রম। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এমন তথ্য জানা গেছে। মন্ত্রণালয় বলছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক বদলি নীতিমালা সংশোধনের কাজ শুরু হয়েছে। এজন্য চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রধান হিসেবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বদরুল হাসান বাদলকে আহ্বায়ক করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের একজন অতিরিক্ত মহাপরিচালকসহ চারজনকে সদস্য করা হয়েছে।
আরও জানা গেছে, বদলি কার্যক্রম অনলাইনভিত্তিক করতে একটি সফটওয়্যার তৈরি করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে বছরে শুধুমাত্র জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত- এ তিন মাস নয়, সারা বছরই শিক্ষক বদলি করা যাবে। শিক্ষক বদলির জন্য একজন শিক্ষকের জ্যেষ্ঠতা, ইনোভেশন (উদ্ভাবনী দক্ষতা), শ্রেষ্ঠ পুরস্কারসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ১০০ নম্বর নির্ধারণ করা হতে পারে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রাথমিক শিক্ষক বদলির ক্ষেত্রে সফটওয়্যারে একটি আবদেনপত্র দেয়া হবে। সেখানে আবেদকারীর বিভিন্ন তথ্য দিয়ে তা পূরণ করতে হবে। বদলিপ্রত্যাশীরা এসব তথ্য যুক্ত করলে অটোমেটিক তার প্রাপ্ত নম্বর যোগ হয়ে যাবে। এক আসনে একাধিক আবেদনকারী থাকলে যার প্রাপ্ত নম্বর বেশি হবে তিনি বদলির জন্য মনোনীত হবেন। এছাড়া আবেদন ফরমে শিক্ষকরা বদলির জন্য জেলা-উপজেলার একাধিক বিদ্যালয় নির্বাচন করতে পারবেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কমিটির প্রধান প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিদ্যালয়) বদরুল হাসান বাদল
বলেন, অনলাইনভিত্তিক শিক্ষক বদলি কার্যক্রমের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এজন্য শিক্ষক বদলি নীতিমালায় পরিবর্তন আনা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে মন্ত্রণালয়ে সভা হয়েছে। সেখানে বদলি নীতিমালা পরিবর্তনের বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষক বদলির ক্ষেত্রে নম্বর যুক্ত করা হতে পারে। আবেদকারীর জ্যেষ্ঠতা, উদ্ভাবনী দক্ষতা, অর্জন এবং তার পাঠদানের কৌশল ও বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ফলাফলের ওপর নির্ণয় করে সফটওয়্যারের মাধ্যমে নম্বর যুক্ত করা হবে। এটি ১০০ নম্বর হতে পারে। বিভিন্ন বিষয়ের ওপর সফটওয়্যারের মাধ্যমে আবেদনকারীর নম্বর মূল্যায়ন করা হবে। এর মাধ্যমে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক পছন্দের স্থানে বদলি হতে পারবেন।
উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, কেউ যদি ঢাকা মহানগরীতে বদলি হতে চান তাহলে তিনি আবেদন করবেন। নীতিমালা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট বিষয়ে যিনি বেশি নম্বর পাবেন তাকে বদলি করা হবে। তবে সকল মূল্যায়নে যদি সমান সমান নম্বর পান সেক্ষেত্রে যিনি আগে আবেদন করবেন তাকে বদলির জন্য মনোনীত করা হবে।
বদরুল হাসান বাদল বলেন, নীতিমালা সংশোধনের কাজ শেষপর্যায়ে, সফটওয়্যার তৈরির কাজও শুরু হয়েছে। এতে কী কী বিষয় যুক্ত করা হবে সেসব বিষয় নিয়ে একাধিক বৈঠক হয়েছে, আরও বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। বদলির জন্য যেসব বিষয় প্রয়োজনীয়, সেসব বিষয় সফটওয়্যারের মধ্যে যুক্ত করা হবে।
‘আগামী বছর থেকে অনলাইনে শিক্ষক বদলির কার্যক্রম শুরুর লক্ষ্যে তারা এ কার্যক্রম শুরু করেছেন’ বলেও জানান তিনি।
চলতি বছর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক বদলি কার্যক্রম নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। নানা অনিয়ম, বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অভিযোগ ওঠে। এছাড়া সরকারি-বেসরকারি নানা মহলের মনোনীত প্রার্থীদের বদলি করতে হিমশিম খেতে হয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরকে। নির্ধারিত তিন মাস শিক্ষক বদলি কার্যক্রম চালু থাকায় এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
এসব কারণে বদলি কার্যক্রম বছরজুড়ে করার সিদ্ধান্ত নেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। অতিরিক্ত সচিব আরও বলেন, বদলি কার্যক্রম আরও সহজ ও ভোগান্তিমুক্ত করতে এটি অনলাইনে আনা হচ্ছে। শুধু তিন মাস এ কার্যক্রম চালু থাকায় এ সময় অধিদফতরে প্রত্যাশীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। বিঘ্নিত হয় স্বাভাবিক কার্যক্রম। অনেকে আবার কাজ করিয়ে দেয়ার নামে বাণিজ্য শুরু করেন। এসব বন্ধে শিক্ষক বদলি কার্যক্রমে আমূল পরিবর্তন আনা হচ্ছে।

Print Friendly, PDF & Email

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
themesbazarhaor24net
© All rights reserved © 2019-2024 haor24.net
Theme Download From ThemesBazar.Com
error: Content is protected !!