স্টাফ রিপোর্টার::
দেশের জনপ্রিয় সংগীত পরিচালক ও গীতিকার কবির বকুল বলেছেন ‘প্রেমের মানুষ ঘুমাইলে ছাইয়া থাকে…’ গানটি নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। এই গানটি যে সুনামগঞ্জের গীতিকার মো. জবান আলীর লেখা একটি জনপ্রিয় গান সেটি আমি নিজেও জানি। তবে এই গান ছবিতে কীভাবে ব্যবহার হয়েছে সেটি আমি জানি না, ছবির পরিচালক ও প্রযোজক জানেন।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় সুনামগঞ্জ পৌর শহরের প্রয়াত আইনজীবী ও গীতিকার মো. জহির আহমদ সোনা মিয়ার বাসায় গীতিকার মো. জবান আলী ও অন্যদের সঙ্গে আলাপকালে কবির বকুল এসব কথা বলেন।
গীতিকার জবান আলীর এই গানটি চলচ্চিত্র পরিচালক পি এ কাজল তার ‘পিরিতের আগুন জ্বলে দ্বিগুণ’ ছবিতে ব্যবহার করেছেন। অথচ গানের যে সিডি প্রকাশিত হয়েছে সেখানে তার নাম নেই। এ নিয়ে সুনামগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গত ১৩ এপ্রিল পি এ কাজল ও কবির বকুলের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন গীতিকার মো. জবান আলী। এই মামলায় দুই বিবাদীর বিরুদ্ধে গত বৃহস্পতিবার আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন।
শুক্রবার বিকালে কবির বকুল সুনামগঞ্জে এসে মো. জবান আলীর সঙ্গে দেখা করেন এবং এ বিষয়ে তার অবস্থান পরিস্কার করেন। তিনি বলেন, ওই ছবিতে আমার কয়েকটি গান আছে। কিন্তু সবকটি গানের গীতিকার হিসেবে প্রকাশিত সিডির কাভারে এককভাবে তার নাম লেখা হয়েছে, এই বিষয়টি তিনি জানেন না। এ জন্য তিনি জবান আলীর কাছে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন,‘আপনার কষ্ট আমি বুঝি। এতে আমিও কষ্ট পেয়েছি। এটা হতে পারে না। এই জনপ্রিয় গান আপনার সৃষ্টি। আমি কখনো কোথাও বলিনি এটা আমার লেখা। এই ভুল পরিচালক-প্রয়োজকের। অথচ আজ অন্যের ভুলের মাশুল আমাকে দিতে হচ্ছে।’ কবির বকুল বলেন,‘আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। অবশ্যই আদালতে আসব এবং আমার অবস্থান পরিস্কার কবর।’
জবাবে মো. জবান আলী বলেন,‘আপনি দেশের একজন গুণী মানুষ। এতদূর থেকে এসেছেন, নিজের অবস্থান পরিস্কার করেছেন। এতে আমরাও খুশি।’ এ সময় মুঠোফোনে মো. জবান আলীর সঙ্গে সংগীতশিল্পী কুমার বিশ্বজিৎ কথা বলেন।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী মো. কামাল হোসেন বলেন,‘শুক্রবার বিকালে গীতিকার কবির বকুল সুনামগঞ্জে এসেছিলেন। তিনি গীতিকার মো. জবান আলী ও আমাদের সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলেছেন।’