স্টাফ রিপোর্টার::
অকালপ্রয়াত যুবরাজনীতিবিদ, আইনজীবী ও পরিবেশ আন্দোলনের নেতা মইনুদ্দিন আহমদ জালালের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সুনামগঞ্জে নাগরিক স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পৌর শহরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে এই স্মরণসভা হয়।
বিকেল থেকে জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরি প্রাঙ্গণে মইনু্িদ্দন আহমদ জালাল স্মরণে আলোচিত্র প্রদর্শনী ছিল। স্মরণসভায় পরিবেশন করা হয় মইনুদ্দিন আহমদ জালালের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীর স্মারক তথ্যচিত্র। তথ্যচিত্রটি দেখে অনেকেই আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন।
সুনামগঞ্জের প্রবীণ শিক্ষাবিদ পরিমল কান্তি দে স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন। শুরুতেই জালালের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। স্মরণসভায় সুনামগঞ্জের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। মইনুদ্দিন আহমদ জালাল ২০১৮ সালের ১৮ অক্টোবর ভারতের শিলংয়ে আকশ্মিক মৃত্যুবরণ করেন।
স্মরণসভায় বক্তারা বলেন, মইনুদ্দিন আহমদ জালাল সুনামগঞ্জের সব দল ও মতের মানুষের অতিপ্রিয় মানুষ ছিলেন। একদিকে যেমন সাহসী অন্যদিকে তিনি ছিলেন অত্যন্ত বিনয়ী পরোপকারী মানুষ। মানুষের বিপদে-আপদে সবার আগে গিয়ে পাশে দাঁড়াতেন। মনেপ্রাণে একজন দেশপ্রেমিক মানুষ ছিলেন মইনুদ্দিন আহমদ জালাল। মৃত্যুর আগে তিনি পক্ষঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্রের (সিআরপি) জন্য সিলেট ৫০শতক জমি দান করে গেছেন। একজন বড় মনের মানুষ না হলে কেউ কোটি টাকার জমি মানুষের কল্যাণে এভাবে দান করতে পারেন না। বৃহত্তর সিলেটের বহু আঞ্চলিক আন্দোলনের অগ্রভাগে ছিলেন তিনি। নদী ও পরিবেশ রক্ষার আন্দোলনে ভূমিকা রেখেছেন সাহসের সঙ্গে।
বক্তারা আরও বলেন, বাংলাদেশ যুব ইউনিয়নের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য হিসেবে আন্তর্জাতিক পরিম-লে নির্মোহভাবে যুব আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন আমৃত্যু মইনুদ্দিন জালাল। দেশকে তুলে ধরেছেন আন্তর্জাতিক অঙ্গণে। যুব আন্দোলনকে সংগঠিত করতে পৃথিবীর বহুদেশ ঘুরেছেন। মানুষের কল্যাণ, মানুষের মুক্তিই ছিল তাঁর জীবনের মূল দর্শন।
স্মরণসভায় বক্তব্যদের সুনামগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি হুমায়ূন মঞ্জুর চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট খায়রুল কবির রুমেন, সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুর রহমান সিরাজ, জেলা বিএনপির সহসভাপতি নাদীর আহমদ ও অ্যাডভোকেট মো. শেরেনূর আলী, জেলা খেলাঘর আসরের সভাপতি বিজন সেন রায়, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. সাহারুল ইসলাম, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. শামছুল আবেদীন, জেলা মহিলা পরিষদের সভানেত্রী গৌরি ভট্টাচার্য, সংস্কৃতিকর্মী আরতি তালুকদার, জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এনাম আহমেদ। স্মরণসভা সঞ্চালনা করেন সাংবাদিক-আইনজীবী খলিল রহমান।