হাওর ডেস্ক ::
আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এ দেশকে রক্ষা করতে হলে কৃষক ও জমি বাঁচাতে হবে। কৃষি জমি নষ্ট করে কোনো শিল্প কলকারখানা ও ইন্ডাস্ট্রি করা যাবে না। এছাড়া নিজেদের চাহিদা পূরণ করে কৃষিপণ্য যেন বিদেশে রফতানি করতে পারি সে ব্যবস্থা করতে হবে।
বুধবার দুপুরে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কৃষক লীগের জাতীয় সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশ। আমাদের প্রবৃদ্ধি আজ ৮ দশমিক ১৩। এর পিছনে সবচেয়ে বড় অবদান কৃষকের। আমরা আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি। এখন পুষ্টির দিকে নজর দিয়েছি। মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, ফলমূল এগুলো পর্যাপ্ত পরিমাণে উৎপাদনের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে সরকার কৃষকদের সুবিধা দিচ্ছে।
তিনি বলেন, সমবায়ের মাধ্যমে কৃষকরা যাতে তাদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যবাজার পায় সে ব্যবস্থাও সরকার করছে। কৃষকদের উৎপাদনের ফলেই আমাদের দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় আজ প্রায় দুই হাজার ইউএস ডলার হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, হাওর এলাকার কৃষকরা অকাল বন্যায় প্রায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ছাড়া উপকূলীয় এলাকার কৃষকরাও প্রাকৃতিক দুর্যোগে সব কিছু হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যায়। তাদের জন্য কোনো বীমার ব্যবস্থা চালু করা যায় কি-না সেটাও আমাদের সরকার ভাবছে। বাংলাদেশ প্রতিনিয়ত এগিয়ে যাচ্ছে। এ অর্জন আমাদের ধরে রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, কৃষক যাতে ভালোভাবে ফসল ফলাতে পারে সে জন্য সারের দাম কমানো হয়েছে। সেচের জন্য ব্যবহার করা বিদ্যুতের ওপর ২০ ভাগ ভর্তুকি দেয়া হয়েছে।
জাতীয় সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন কৃষক লীগের সভাপতি আলহাজ মোতাহার হোসেন মোল্লা। অনুষ্ঠানে সাংগঠনিক রিপোর্ট পেশ করেন কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খন্দকার শামসুল হক রেজা।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সর্বভারতীয় কৃষাণ সভার সাধারণ সম্পাদক অতুল কুমার অঞ্জন প্রমুখ।