হাওর ডেস্ক::
ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় এলাকা। শনিবার (৯ নভেম্বর) রাতে এটি আঘাত হেনেছে বাংলাদেশেও। খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাটে বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে, ঘূর্ণিঝড়টি সুন্দরবনের উপর দিয়ে আসায় গতি-শক্তি অনেকটাই কমে গেছে। ফলে বড় ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে বাংলাদেশ। ঝড়টি সুন্দরবন না হয়ে বরিশাল এলাকা দিয়ে আসলে অনেক বেশি ক্ষয়ক্ষতি হতো বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ ড. আব্দুল মান্নান।
রোববার (১০ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরে মিডিয়া ব্রিফিংয়ে একথা জানান তিনি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আবহাওয়াবিদ মান্নান বলেন, চলতি বছর যতগুলো ঘূর্ণিঝড় হয়েছে, তার অধিকাংশই সুন্দরবনকেন্দ্রিক হওয়ায় রক্ষা পেয়েছে বাংলাদেশ। এর মূল কারণ সুন্দরবন অতিক্রম করে ঘূর্ণিঝড় বেশিদূর এগোতে পারে না। তার আগেই ঘূর্ণিঝড়গুলো দুর্বল হয়ে যায়। কিন্তু একই ঘূর্ণিঝড় যদি বরিশালকেন্দ্রিক হতো তাহলে বাংলাদেশের জন্য বড় দুর্যোগ বয়ে আনতো। সুতরাং, একথা বলা অনস্বীকার্য যে সুন্দরবন ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
তিনি বলেন, দেশের উপকূলে আছড়ে পড়া প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে এগিয়ে চলেছে। এটি ঢাকা ও কুমিল্লাঞ্চল হয়ে দুপুর থেকে বিকেল নাগাদ ভারতে চলে যাবে। ত্রিপুরা থেকে আসাম এবং এর পার্শ্ববর্তী অঞ্চল দিয়ে অনেকটা দুর্বল হয়েই অতিক্রম করবে এই ঘূর্ণিঝড়।
তিনি আরও বলেন, এটি ঘণ্টায় ৮-১০ কিলোমিটার গতিতে উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে। ঝড়টি দুপুর থেকে বিকেল নাগাদ ঢাকা ও কুমিল্লাঞ্চল হয়ে ভারতের ত্রিপুরা-আসামের দিকে অগ্রসর হতে হতে একেবারেই দুর্বল হয়ে যাবে। এর ফলে ঢাকাসহ ঝড়ের গতিপথ অঞ্চলে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে।
এদিকে, আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতি ও শক্তি হারিয়ে ‘বুলবুল’ এখন আর ঘূর্ণিঝড় নেই। সেটি গভীর স্থলনিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সমুদ্রবন্দরগুলোর বিপদসংকেত নামিয়ে ৩ এবং নদীবন্দরগুলোর বিপদ সংকেত ২-এ আনা হয়েছে। তবে মাছ ধরার ট্রলারগুলোকে আরও ২৪ ঘণ্টা নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।