দিরাই প্রতিনিধি::
দিরাইয়ে উপজেলা শিল্পকলা একাডেমীর কার্যনিবার্হী কমিটি গঠনে চাঞ্চল্যকর অনিয়মের তথ্য পাওয়া গেছে। দিরাইয়ের বিদায়ী ইউএনও শরিফুল ইসলামের দিরাই থেকে বদলি হয়ে যাবার পুর্বমুহুর্তে এই কমিটি গঠিত হয়। কমিটি গঠনে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর নির্দেশনা অনুসরণ করা হয়নি। শিল্পকলা একাডেমীর মহা পরিচালক লিয়াকত আলী লাকী স্বাক্ষরিত উপজেলা শিল্পকলা একাডেমী গঠনের রুপরেখা সম্বলিত প্রজ্ঞাপন সূত্রে জানা যায়, উপজেলা শিল্পকলা একাডেমীর কার্যনির্বাহী কমিটিতে পদসংখ্যা মোট ১০ টি। এরমধ্যে এরমধ্যে ১ জন সভাপতি, ১ জন সাধারণ সম্পাদক ও বাকি ৮ জন সদস্য হিসেবে থাকবেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পদাধিকারবলে এর সভাপতি মনোনীত হবেন। ইউএনও কর্তৃক মনোনীত ১ম শ্রেণির একজন কর্মকর্তা হবেন সাধারণ সম্পাদক। ৮ সদস্যের মধ্যে সাংবাদিক ১ জন, সাহিত্যিক ১ জন, শিল্পী/শিক্ষানুরাগী ৩ জন, আইনজীবি ১ জন, সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ১ জন এবং সরকারি/বেসরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক/শিক্ষিকা ১ জন। কিন্তু দিরাই উপজেলা শিল্পকলা একাডেমীর কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়েছে ১৫ সদস্যবিশিষ্ট। কমিটিতে ২ জনকে সহসভাপতি, ২ জনকে সহসাধারণ সম্পাদক ও ১ জনকে কোষাধ্যক্ষ পদে রাখা হয়েছে। অথচ শিল্পকলা একাডেমীর প্রজ্ঞাপনে এই পদগুলোর কোন অস্তিত্ব নেই। কমিটির সাধারণ সম্পাদক পদে একজন প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা থাকার নির্দেশনা থাকলেও দিরাইয়ে নারায়ণ দাস নামে একজন ব্যক্তিকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। এছাড়া কমিটিতে সাংবাদিক, আইনজীবি, সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ, উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, সাহিত্যিক শিক্ষানুরাগী কাউকেই রাখা হয়নি। কমিটি নিয়ে স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণিপেশার লোকজনের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। দিরাই সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রদীপ কুমার দাস বলেন, উপজেলা শিল্পকলা একাডেমীর কমিটি গঠনের বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা, আমাকে কোনকিছু বলা হয়নি। সুনামগঞ্জ জজকোর্টের এপিপি অ্যাডভোকেট সোহেল আহমেদ বলেন, কমিটি গঠনে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর নির্দেশনা অনুসরণ না করাটা দুঃখজনক। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানাই। প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান লিটন বলেন, কমিটি গঠনে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর নির্দেশনা কিছুই মানা হয়নি, ১০ জনের স্থলে ১৫ জনের কমিটি, তাও আবার যে পদগুলোর অস্তিত্বই নেই সেগুলো এখানে সৃজন করা হয়েছে, যাদের রাখার জন্য বলা হয়েছে তাদের রাখা হয়নি। দিরাই ভাটিবাংলা শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আবুল কাশেম চৌধুরী বলেন, এভাবে কমিটি গঠনের কারণ কি, সেটাই বোধগম্য হচ্ছে না। নির্দেশনা অনুযায়ী কমিটি পুর্ণগঠনের দাবী জানাচ্ছি। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শফি উল্লাহ বলেন, এবিষয়ে পুর্ববর্তী ইউএনও সাহেব বলতে পারবেন। অনিয়ম হয়ে থাকলে কর্তৃপক্ষ বরাবরে অভিযোগ করা যেতে পারে।