বিশেষ প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জের জেলা ও উপজেলায় নদ-নদী, খাল, বিল, ছড়া, হাওর সহ অন্যান্য জলাধার তীরবর্তী অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন। এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দখলবাজদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সতর্কবার্তা প্রচার করেছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন শিগ্রই জেলার গুরুত্বপূর্ণ নদ নদী খালের দখলদারদের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হবে। আগামী ২৩ ডিসেম্বর থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হবে। এই সময়ে মধ্যে নিজ উদ্যোগে স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য দখলবাজদের নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১০টি বিশেষ উদ্যোগের মধ্যে পরিবেশ সুরক্ষায় : ‘শেখ হাসিনার নির্দেশ, জলবায়ু সহিষ্ণু বাংলাদেশ’ বিয়ষটি অন্যতম। এছাড়া সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় : ‘শেখ হাসিনার বারতা, গড়ো সামাজিক নিরাপত্তা’ বিষয়ে মাঠ পর্যায়ে বিশেষ নির্দেশনা রয়েছে। টেকসই উন্নয়ন অভিষ্ঠ লক্ষ্য ৬: “সুপেয় পানি ও পয়ঃ নিষ্কাশন ব্যবস্থা” ও লক্ষ্য ১৩: এবং “জলবায়ু বিষয়ে পদক্ষেপ নিশ্চিত করা”। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন এ দুটি লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য নদ নদীর ও জলাধারের সঠিক প্রবাহ নিশ্চিত করা প্রয়োজন। বাংলাদেশের মানুষের জীবন-জীবিকা, অর্থনীতি, যোগাযোগ ও পরিবহন ব্যবস্থা অনেকাংশে এখনো নদী কেন্দ্রিক। এখনো আভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল ব্যবস্থার উপর দেশের বিশাল জনগোষ্ঠী নির্ভরশীল। নদীমাতৃক বাংলাদেশর নদ-নদী সমূহের স্বাভাবিক প্রবাহ ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে দেশের ৬৪ জেলায় নদ-নদী, খাল, বিল, সরকারি পুকুরসহ জলাধার তীরবর্তী বিভিন্ন স্থাপনা সমূহে অবস্থিত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের সচিব ৭ নভেম্বর ২০১৯ তারিখে ভিডিও কনফারেন্সে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দিয়েছেন। তাই আগামী ২৩ ডিসেম্বর একযোগে দেশের সকল জেলায় নদ-নদী, খাল, ছড়া, বিল, হাওর সহ অন্যান্য জলাধার তীরবর্তী অবৈধ স্থাপনা ও অবৈধ দখলকৃত ভূমিতে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে।
সুনামগঞ্জ জেলায়ও এই অভিযান পরিচালিত হবে। জেলায় প্রবাহিত নদী-নালা, খাল-বিল, ছড়া, হাওরসহ বিভিন্ন জলাধারের পানি বিশুদ্ধ রাখা, নদীর স্বাভাবিক গতি প্রবাহ ও নাব্যতা বজায় রাখা এবং নদ-নদী ও জলাধারের জীববৈচিত্রকে সংরক্ষণের স্বার্থে নদী-নালা, খাল, ছড়া, বিল, হাওর সহ বিভিন্ন জলাধারের পার্শ্ববর্তী সরকারি ভূমিতে নির্মিত অবৈধ স্থাপনাসমূহ অপসারণ করা হবে। তবে এই সময়ের মধ্যে নিজ উদ্যোগে স্থাপনা অপসারণ করা না হলে আগামী ২৩ ডিসেম্বর থেকে জেলায় উচ্ছেদ অভিযান শুরু হবে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ।