ছাতক প্রতিনিধি::
ছাতকে বিপুল পরিমানের ভারতীয় কসমেটিক ভর্তি পিকআপসহ তিন চোরাকারবারিকে আটক করেছে হাইওয়ে পুলিশ। আটককৃতদের রোববার রাতে ছাতক থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় হাইওয়ে পুলিশের এএসআই ইয়ামিন মিয়া বাদি হয়ে ছাতক থানায় একটি মামলা (নং-০৮, তাং-০৮,১২,২০১৯ইং) দায়ের করেছেন।
জানা যায়, সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের জয়কলস হাইওয়ে (বদিরগাঁও) পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই রনু মিয়ার নেতৃত্বে প্রতিদিনের মতো শনিবার মধ্যরাতে সড়কে চেক পোষ্ট বসিয়ে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন একদল পুলিশ। দায়িত্বরত অবস্থায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ফাঁড়ি এলাকায় চেক পোষ্টে ধরা পড়ে বিপুল পরিমানের ভারতীয় কসমেটিকস ভর্তি একটি পিকআপ (নং-সিলেট-মেট্রো-ন-১১-১০০৬)। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে রাস্তায় গাড়ি রেখে চালকসহ তিন চোরাকারবারিরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এসময় ধাওয়া করে পুলিশ তাদের আটক করতে সক্ষম হন। আটককৃতরা হলেন, কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর উপজেলার শাহাপুর গ্রামের মৃত জিলহľ মিয়ার পুত্র কিরন মিয়া (৩০), সিলেটের শাহপরান এসএপপি থানাধীন উত্তর মোকামেরগুল পীরের বাজার এলাকার মৃত জাকির হোসেনের পুত্র পিকআপ চালক জুনেদ আহমদ (২৬) ও বি-বাড়িয়া জেলার নবিনগর থানার শ্রীঘর গ্রামের আনোয়ার হোসেনের পুত্র পারভেজ আলী (৩৩)। জব্দকৃত বিভিনś ধরণের ভারতীয় কসমেটিকস যার বাজার মূল্য প্রায় ১১লক্ষ ৯৩হাজার ৪শ’৩৪টাকা। হাইওয়ে (বদিরগাঁও) পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই রনু মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সংঘবদ্ধ এসব চোরাকারবারিরা চোরাই পথে সরকারের শুল্ক ও কর ফাঁকি দিয়ে সুনামগঞ্জ সদর থানাধীন সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে এসব ভারতীয় পণ্য ঢাকার চকবাজারসহ রাজধানির বিভিনś বাজারে বিক্রি করে আসছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে তার নেতৃত্বে ওইদিন সড়কে চেক পোষ্ট বসানো হয়। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সড়কের পাশে গাড়ি রেখে পালিয়ে যাওয়ার সময় ধাওয়া করে চালকসহ তিন চোরাকারবারিকে আটক করে পুলিশ। চেক পোষ্টে সাথে ছিলেন এএসআই মো. ইয়ামিন মিয়া, কনষ্টেবল ফরিদ মিয়া, আবু সাঈদ, রিপন মিয়া ও চালক অনুকুল গোপ।