স্টাফ রিপোর্টার ::
মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, সাবেক সংসদ সদস্য, কমরেড প্রসূন কান্তি বরুণ রায়ের ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে এই সভার আয়োজন করে কমরেড বরুণ রায় স্মৃতি সংসদ।
স্মরণসভায় বক্তারা বলেন, কমরেড প্রসূন কান্তি বরুণ রায় ছিলেন গণমানুষের নেতা। তিনি আজীবন শোষণ আর বৈষম্যে বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। তাঁর স্বপ্ন ছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা। একজন সংসদ সদস্য হয়েও তিনি সাধারণ মানুষের মতো সাদামাটা জীবনযাপন করেছেন। জমিদার পরিবারে জন্ম নিয়েও সমাজের শোষণ-নিপীড়নের বিরুদ্ধে সাম্য প্রতিষ্ঠায় সংগ্রাম করেছেন। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে তাঁর অবদান ছিল অনন্য। বর্তমান সময়ে বরুণ রায়ের মতো ত্যাগী ও সৎ নেতার বড়ই অভাব।
বক্তারা আরো বলেন, কমরেড বরুণ রায় শুধু একজন ব্যক্তি ছিলেন না, ছিলেন একটি আদর্শিক প্রতিষ্ঠান। তিনি জাগরণের অনন্ত প্রেরণা। দেশের প্রতি, দেশের মানুষের প্রতি তাঁর যে ত্যাগ, তা সবার কাছে অনুস্মরণীয়। তাঁর সংগ্রামী জীবন দেশের প্রতিটি সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক আন্দোলনে প্রেরণা হয়ে কাজ করবে।
কমরেড বরুণ রায় স্মৃতি সংসদের সভাপতি শিক্ষাবিদ ধূর্জটি কুমার বসুর সভাপতিত্বে ও উদীচী’র সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় স্মরণসভায় বক্তব্য রাখেন কমরেড বরুণ রায়ের সহধর্মিণী নারীনেত্রী শীলা রায়, স্মৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদক রমেন্দ্র কুমার দে মিন্টু, প্রফেসর পরিমল কান্তি দে, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. চাঁন মিয়া, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক কমরেড অমর চাঁদ, লেখক ও সিনিয়র আইনজীবী হোসেন তওফিক চৌধুরী, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সালেহ আহমদ, জেলা সিপিবি’র সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. এনাম আহমদ, সাংবাদিক অ্যাড. খলিল আহমদ, জেলা ছাত্র ইউনিয়ন সভাপতি দুর্যোধন দাস দুর্জয় প্রমুখ।
সভায় বরুণ রায় স্মৃতি সংসদের পক্ষ থেকে ১০ মেধাবী শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ করা হয়। পরে দুঃস্থদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন অতিথিবৃন্দ।