স্টাফ রিপোর্টার::
মরা গরু জবাই ও কর্মী গ্রেপ্তার বিষয়ে পানসি রেস্টুরেন্ট সংবাদ সম্মেলন করে তাদের বক্তব্য জানিয়েছে। সোমবার দুপুরে পুরাতন বাসস্টেশনস্থ তাদের হোটেলের দ্বিতীয় তলায় এক অনাড়ম্বর সাংবাদিক সম্মেলন করে বক্তব্য প্রদান করে। বক্তারা বলেন, পানসি খাবারের মান নিয়ে ক্রেতার সঙ্গে চিটিং করেনা। একই ধরনের ও কোয়ালিটির খাবার পানসির সকল শাখায় একই মূল্যে বিক্রি করা হয়।
লিখিত বক্তব্যে পানসী কর্তৃপক্স জানায়, বিভিন্ন অনলাইন মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মরা গরু জবাই করে পানসির রান্নার জন্য নিয়ে আসা হয়েছে মর্মে যে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে তা সত্য নয়। তাছাড়া যে তিনজন আটক হয়েছে তাদের কেউ পানসির কর্মী নয়। এই বিভ্রান্তিকর তথ্য পরিবেশন করে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় পানসির সুনাম ক্ষুন্ন হয়েছে।
সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, পানসীর খাবারের সকল উপকরণ সরবরাহকারীদের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়। পরে নিজস্ব বাবুর্চির মাধ্যমে উন্নত রান্নাবান্না ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার সঙ্গে খাবার সরবরাহ করা হয়। সরবরাহকারীরা গরু এনে পানসিতেই জবাই করতে হয়। মাছ, সব্জি চাল এখানে আনার পর পরীক্ষা করে রান্না করা হয় এবং সরবরাহকারীদের কাছ থেকে গ্রহণ করা হয়।
লিখিত সাংবাদিক সম্মেলনে সংশ্লিষ্টরা জানান, রবিবার রাতে সার্কিট হাউস এলাকায় দুর্ঘটনায় একটি গরু মারা যায়। এই গরু পানসি রেস্টুরেরেন্ট এনে রান্না করা হচ্ছে মর্মে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা আদৌ ঠিক নয়। কারণ সরবরাহকারীরা আমাদের পানসি রেস্টুরেন্টে ঋষ্টপুষ্ট গরু এনে দেখানোর পর আমরা জবাই করে পরিবেশন করি। ওইদিন দুর্ঘটনাস্থল থেকে পানসির নামে গরু জবাইকারী যাদের আটক করা হয়েছে তারা পানসির কেউ না। তারা মাঝে-মধ্যে আমাদের হোটেলে আস্তো গরু এনে দেখানোর পর আমরা পরীক্ষা করে পরে জবাই করি। আমাদের অনেক সরবরাহকারী রয়েছে। এ ধরনের তথ্যে বিভ্রান্ত হয়ে সংবাদ পরিবেশন থেকে বিরত থাকার জন্য সাংবাদিকদের অনুরোধ জানান সংশ্লিষ্টরা। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন পানসির কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ আজাদ, শফিক আহমদ ও সুজাত আহমদ।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন এডভোকেট শামসুল আবেদীন, সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি লতিফুর রহমান রাজু, প্রেসক্লাব সভাপতি পঙ্কজ দে, প্রেসক্লাব সহসভাপতি শামস শামীম, প্রেসক্লাব সেক্রেটারি একেএম মহিম, প্রেসক্লাব যুগ্ম সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, বিন্দু তালুকদার, রিপোর্টার্স ইউনিটির সেক্রেটারি এমরানুল হক চৌধুরী, ডিবিসি প্রতিনিধি আমিনুল ইসলাম, সাংবাদিক কুলেন্দু দাস, ফরিদ মিয়া প্রমুখ।