স্টাফ রিপোর্টার::
প্রতিদিন বস্তুনিষ্ট সংবাদ সততার সঙ্গে তুলে আনায় স্থানীয় দৈনিক সুনাকণ্ঠ অগ্রগণ্য ভূমিকা রাখছে বলে পত্রিকার ৬ষ্ট বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে অভিমত প্রকাশ করেছেন সুধীজন। নতুন বছরের প্রথম দিন পত্রিকাটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান তারা।
বুধবার পত্রিকার ৬ষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তারা। বুধবার দুপুরে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ ও পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান সুধীজনদের নিয়ে সুনামকণ্ঠের কার্যালয়ে ৬ষ্ট প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটেন। এসময় মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষাবিদ, আইনজীবী, সাংবাদিকসহ সুধীজন উপস্থিত ছিলেন। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে অতিথিদের অভ্যর্থনা জানান সুনামকণ্ঠের সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি মো. জিয়াউল হক ও সম্পাদক প্রকাশক বিজন সেনরায়। এদিকে সুনামকণ্ঠের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তিবর্গ পত্রিকা কর্তৃপক্ষকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তারা সুনামকণ্ঠের কার্যালয়ে এসে দিনব্যাপী সংশ্লিষ্টদের শুভেচ্ছায় সিক্ত করেন।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান সুনামকণ্ঠের নির্বিঘ্ন পথচলায় অভিনন্দন জানিয়ে সৎ ও বস্তুনিষ্ট সাংবাদিকতার আহ্বান জানান। সুনামগঞ্জের উন্নয়নেও এই প্রতিষ্ঠানটি ভূমিকা রাখুক।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ সুনামকণ্ঠের সকল কলা-কুশলিদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, দৈনিক সুনামকণ্ঠ নানা চড়াই উৎরাই পেরিয়ে আজ ৬ বছরে পা রেখেছে। সুনামকণ্ঠ একটি সফল স্থানীয় পত্রিকা। তিনি বলেন, সংবাদ মাধ্যম সরকারের উন্নয়নের সাথে চলমান একটি বাহন। প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে সরকারি বেসরকারি, অনিয়ম ও সত্য সংবাদ তুলে আনছে সুনামকণ্ঠের মতো পত্রিকাগুলো। এটি আমাদের সমাজের বিবেকের বাহন হিসেবে কাজ করছে। এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকুক।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষাবিদ ধুর্যটি কুমার বসু, সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ প্রফেসর পরিমল কান্তি দে, সুনামগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ দীলিপ কুমার মজুমদার, প্রাক্তন অধ্যক্ষ ও প্রফেসর ন্যাথানিয়েল ফেয়ারক্রস, লেখক সুখেন্দু সেন, অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্কার বিকাশ রঞ্জন চৌধুরী ভানু, মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ান, মুক্তিযোদ্ধা মালেক হুসেন পীর, পৌর কলেজের অধ্যক্ষ শেরগুল আহমেদ, এডভোকেট রুহুল তুহিন, সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি লতিফুর রহমান রাজু, সাংবাদিক রওনক বখত, অধ্যক্ষ রবিউল ইসলাম, সহকারি অধ্যাপক শাহ আবু নাসের, শুভঙ্কর তালুকদার মান্না, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক চন্দন রায়, স্বপন কুমার দাস, এডভোকেট এনাম আহমেদ, সাংবাদিক ঝুনু চৌধুরী, সাংবাদিক একেএম মহিম, সেলিম আহমদ তালুকদার, হিমাদ্রী শেখর ভদ্র, কুদরত পাশা, জসিম উদ্দিন, সেলিম আহমদ, আমিনুল ইসলাম, মোশাহিদ রাহাত, আশিকুর রহমান পীর, সালেহীন চৌধুরী শুভ, প্রদীপ কুমার পাল, রাজু আহমদ প্রমুখ। এদিকে প্রতিটি উপজেলায় দৈনিক সুনামকণ্ঠের বর্ষপূতি উদযাপিত হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণিপেশার সুধীজন ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য ২০০১ সালে সাপ্তাহিক সুনাকণ্ঠ হিসেবে যাত্রা শুরু করেছিল সুনামকণ্ঠ। ২০১৫ সাল থেকে পত্রিকাটি দৈনিক হিসেবে আতœপ্রকাশ করে নির্বিগ্নে অগ্রযাত্রা অব্যাহত রেখেছে।