স্টাফ রিপোর্টার::
সুনামগঞ্জ-৪ আসনে গত জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মঈনুল হক কলেজের অধ্যক্ষ মতিউর রহমান ২০১৭ সনে কলেজের শিক্ষার্থীদের ভুল বুঝিয়ে ক্যাম্পাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মিছিল করিয়েছিলেন বলে তদন্ত কমিটিকে অবগত করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বুধবার বিকেলে অধ্যক্ষ মতিউর রহমান কর্তৃক ছাত্রী পেটানোর ঘটনায় সরেজমিন তদন্ত করতে গেলে কমিটিকে এ কথা জানান শিক্ষার্থীরা।
বুধবার বিকেলে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসমীন নাহার রুমার নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি মঈনুল হক কলেজে গিয়ে তদন্ত কাজ পরিচালনা করেন। এসময় তদন্ত কমিটি অধ্যক্ষ, শিক্ষার্থী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গেও কথা বলেন।
এদিকে শিক্ষার্থীরা তদন্ত কমিটির কাছে গত ২৮ ডিসেম্বর দুই ছাত্রীদের উপর নির্যাতনের ঘটনা বর্ণনা দেবার পাশাপাশি অধ্যক্ষের অনিয়ম, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধেও বক্তব্য দিয়েছেন।
শিক্ষার্থীরারা প্রশাসন গঠিত তদন্ত কমিটিকে জানান, অধ্যক্ষের আর্থিক অনিয়ম রোধে ব্যবস্থা নেওয়ায় ২০১৭ সনে প্রতিষ্ঠাতার বিরুদ্ধে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের দিয়ে মিছিল করিয়েছিলেন অধ্যক্ষ মতিউর রহমান। ওই মিছিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধেও আপত্তিকর স্লোগান দেওয়ান তিনি। ওই মিছিলের ভিডিও তদন্ত কমিটিকে দেখান শিক্ষার্থীরা। তাছাড়া গত জাতীয় নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-৪ আসনে বিএনপির মনোনয়ন চেয়ে প্রচারণা চালানো প্রিন্সিপাল মতিউর রহমান ছাত্রদের দিয়েও তখন রাজনৈতিক কর্মসূচি ও ভোট প্রার্থনা করিয়েছেন বলে অবগত করেন। ওই সময় ক্লাস না করে শিক্ষার্থীদের কলেজ থেকে বের করে এনে জোরপূর্বক চাপ সৃষ্টি করে অধ্যক্ষ নানা নিয়মবহির্ভূত কাজ করিয়েছিলেন বলে তারা তদন্ত কমিটেক অবগত করেন। অধ্যক্ষ মতিউর রহমান ও উপাধ্যক্ষ তার স্ত্রী আফরোজা পারভিনের অব্যস্থাপনার কারণে প্রতি বছর ফলাফল খারাপ হচ্ছে বলে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন। শিক্ষার্থীদের মধ্যে কথা বলেন, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান রবিন, মিজানুর রহমান প্রমুখ।