দিরাই প্রতিনিধি:
দিরাইয়ে চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত তিন প্রধান শিক্ষকের হাতে অপদস্ত হয়েছেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এসএম আব্দুল হালিম। মঙ্গলবার বেলা ১ টার দিকে রাধানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আভা রানী সরকার, পুর্ব চন্ডিপুর সরকারি প্রাথমকি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক শিল্পী রানী সাহা, পশ্চিম শরিফপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রায়হানা সিদ্দিকা শিক্ষা অফিসে প্রবেশ করে শিক্ষা অফিসার এসএম আবদুল হালিম কে চেয়ার থেকে তুলে দেন। অবস্থা বেগতিক দেখে অফিস কক্ষ ত্যাগ করেন কর্মকর্তা। তিন শিক্ষক অবস্থান নেন অফিসে। এ ঘটনায় অফিস পাড়ায় তোলপাড় সৃষ্টি করে। চলতি দায়িত্বে প্রধান শিক্ষক পদে দায়িত্বগ্রহন ও হস্তান্তর নিয়ে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, জেলা শিক্ষা অফিসার ২০১৮ সালে উপজেলার ৬৪টি বিদ্যালয়ে চলতি দায়িত্বে প্রধান শিক্ষক পদে দায়িত্ব প্রদানে নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্তু সদ্য জাতীয়করণকৃত ৬ টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে বহাল থাকার জন্য হাইকোর্টে রিট করেন উপজেলার ধাপকাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. রউফ মিয়া, রাধারনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শামীমা আক্তার, পুর্ব চন্ডিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ওয়াকিবুর রহমান, পশ্চিম চন্ডিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সেলিনা আক্তার । উচ্চ আদালতে তাদের দাখিলকৃত রিট আবেদন খারিজ করা হয়। এরপর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার পদায়নকৃত চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আভা রানী সরকার, শিল্পী রানী সাহা, রায়হানা সিদ্দিকাসহ চলতি দায়িত্বপ্রাপ্তদের দায়িত্বভার অর্পনের জন্য গত ২ ডিসেম্বর লিখিত নির্দেশনা দেন। কিন্তু পদায়নকৃত শিক্ষকদের দাবী ভারপ্রাপ্ত শিক্ষকগণ তাদের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করছেন না, এমনকি উপজেলা শিক্ষা অফিসারও কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। এরই জের ধরে ক্ষুব্ধ শিক্ষকগণ এ ঘটনা ঘটান। এ ব্যাপারে শিক্ষক আভা রানী সরকার বলেন, আমাদের পিট দেয়ালে ঠেকে গেছে, পদায়ন পাবার দেড় বছর অতিবাহিত হবার পরও দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে কোন ভূমিকা রাখছেন না শিক্ষা কর্মকর্তা, বাধ্য হয়ে আজ অফিসে এসেছি। উপজেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল হালিম বলেন, পদায়নকৃত শিক্ষকদের নিকট দায়িত্ব হস্তান্তরের জন্য আমি ভারপ্রাপ্ত শিক্ষকের লিখিত নির্দেশনা দেই। কিন্তু তারা এটি না মানলে সে বিষয়টিও আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি। আজ (মঙ্গলবার) দুপুরের দিকে শিক্ষক আভা রানী সরকার, শিল্পী রানী সাহা ও রায়হানা সিদ্দিকা অফিস কক্ষে প্রবেশ করে ‘আমাদের চেয়ার দেন অন্যথায় আপনিও চেয়ারে বসতে পারবেন না” একথা বলেই উত্তেজিত অবস্থায় অশালীন ব্যবহার শুরু করলে আমি অফিস কক্ষ ছেড়ে যেতে বাধ্য হই। তারা অফিসে অবস্থান নেয়। বিষয়টি আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবগত করেছি।