সিলেট প্রতিনিধি::
ছাত্র লীগের সংঘর্ষ ও উত্তেজনার জের ধরে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবি) অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা এবং সকল পরীক্ষা স্থগিতের প্রতিবাদে সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়ক অবরোধের পর ভিসি কার্যালয়ে তালা দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। ভিসি আমিনুল ইসলাম ভূঁইয়া কার্যালয়ের ভেতরে থাকায় তিনি অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছেন।
আজ বুধবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুর পৌনে ২টার দিকে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ভিসি কার্যালয়ের দুটি গেইটেই তারা ঝুলিয়ে দেন।
এর আগে সকালে শাবি কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের ঘোষণা দেয়ার পরপরই ক্যাম্পাস ছেড়ে মূল সড়কে নেমে আসেন শিক্ষার্থীরা। তারা শাবির মূল গেইট সংলগ্ন সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে অবস্থান নেন এবং সড়ক অবরোধ করে স্লোগান দিতে থাকেন।
অবরোধকারী শিক্ষার্থীরা জানান- অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের নির্দেশ প্রত্যাহার এবং সকল ক্লাস-পরীক্ষা যথাসময়ে নেয়ার দাবিতে তারা রাজপথে নেমেছেন। তাদের দাবি পূরণ না-হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
এদিকে, আগামী ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ থাকবে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) সকল ক্লাস ও পরীক্ষা। একই সময় পর্যন্ত বন্ধ থাকবে ছাত্রদের ৩টি হল। তবে ছাত্রীদের হল খোলা থাকবে। এছাড়া, মঙ্গলবারের (২০ ডিসেম্বর) ঘটনা তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ ও পুরকৌশল বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. জহির বিন আলমকে প্রধান করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আজ বুধবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের এক জরুরি সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সভা শেষে এ তথ্য জানিয়েছেন সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. কবির হোসেন।
প্রসঙ্গত, গতকাল মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীদের ধাওয়া করে হল থেকে বের করে দেয় ছাত্রলীগেরই আরেকটি গ্রুপ। এসময় সাধারণ সম্পাদক ইমরান খানকেও হল ছেড়ে পালিয়ে যেতে দেখা যায়। ঘটনাস্থলে গুলি ছোঁড়া হয় ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয় বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। এরপর রাতভর উত্তেজনা বিরাজ করলে ভোর ৫টার দিকে ছাত্রদের হল ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। ছাত্রীদের বৃহস্পতিবারের (২২ ডিসেম্বর) মধ্যে হল ছাড়তে বলা হয়েছে।