স্টাফ রিপোর্টার, সুনামগঞ্জ
দিরাই উপজেলার টাঙ্গুয়ার হাওর উপপ্রকল্পের হাওরের ফসলরক্ষা বাধের কাজে বাধা সৃষ্টি করায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কাবিটা মনিটরিং-বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতিকে কারণ দর্শানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহষ্পতিবার বিকেলে দিরাই সহকারি জজ আদালতের বিচারক তম্ময় কুমার দে এই আদেশ দেন। নোটিশ প্রাপ্তির ৭ দিনের মধ্যে বিবাদীদের কারণ দর্শানোর নির্দেশনা দেন তিনি।
আদালত সূত্রে জানা যায়, দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের টাঙ্গুয়ার হাওরের উপপ্রকল্পের ৬৪ নং পিআইসি (প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি) ১৭ লক্ষ ১৩ হাজার ৯৩৩ টাকা বরাদ্দে সৈয়দ আলী হোসেনকে সভাপতি ও মো. আব্দুল্লাহকে সদস্যসচিব করে কমিটি প্রদান করা হয়। ওই কমিটিকে গত ১৪ ডিসেম্বর কার্যাদেশ প্রদান করে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি। কার্যাদেশ পেয়ে পিআইসির সভাপতি ও সদস্যসচিব স্থানীয় সোনালি ব্যাংকে সঞ্চয়ী হিসাব নং ৫৯০৩০০২০০১১৮৯ খুলেন। পিআইসির সভাপতি ও সদস্যসচিব কার্যাদেশ পেয়ে যথাসময়ে কাজ বাস্তবায়নের জন্য একটি এক্সেভেটর মেশিন ও তিনটি ট্রাক ভাড়া বাবত অগ্রিম আড়াই লক্ষ টাকা ব্যয় করেন। জানুয়ারি মাসের প্রথম ভাগে পিআইসি কাজ শুরু করলে বিবাদী একই গ্রামের শানুর মিয়া, উপজেলা কমিটির সদস্যসচিব ও উপজেলা কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ১৬ জানুয়ারি দিরাই সহকারি জজ আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন। আদালত অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিবাদীগণকে নোটিশ প্রাপ্তির ৭ দিনের মধ্যে আদালতে উপস্থিত হয়ে কারণ দর্শানোর নির্দেশনা দিয়েছেন।
মামলার আইনজীবী ড. মফচ্ছির মিয়া বলেন, আদালত অভিযোগটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করে বিবাদীদের কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছেন। নোটিশ প্রাপ্তির ৭ দিনের মধ্যে আদালতে উপস্থিত হয়ে কারণ দর্শাতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।