হাওর ডেস্ক ::
প্রতি বছর ১৬৫টি স্বাধীন দেশ ও দু’টি অঞ্চলে গণতন্ত্রের হাল-হকিকত নিয়ে সমীক্ষা করে দি ইকনমিস্ট গ্রুপ। তার ভিত্তিতে তৈরি হয় ‘ডেমোক্র্যাসি ইনডেক্স’, অর্থাৎ গণতন্ত্রের তালিকা। গণতন্ত্রের হাল অনুযায়ী প্রতিটি দেশের র্যাঙ্কিং হয়। আর আজ বুধবার গণতন্ত্র সূচক প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। সেই তালিকায় এবার আট ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। গত বছর এই সূচকে ৮৮তম অবস্থানে থাকলেও এবছর এক লাফে বাংলাদেশ ওঠে এসেছে ৮০তম স্থানে। গত বছর এই সূচকে বাংলাদেশের স্কোর ছিল পাঁচ দশমিক ৫৭। এবার স্কোর বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ দশমিক ৮৮।
ডেমোক্র্যাসি ইনডেক্স তৈরির সময় যে বিষয়গুলো বিবেচনা করা হয়েছিল, তার মধ্যে আছে ভোটপ্রক্রিয়া, বহুত্ববাদ, সরকারের কাজের পদ্ধতি, রাজনৈতিক সংস্কৃতি ও নাগরিক অধিকার। এর ওপরে ভিত্তি করে প্রতিটি দেশকে ০ থেকে ১০-এর মধ্যে একটি নম্বর দেওয়া হয়েছে। গণতান্ত্রিক পরিস্থিতিকে চারটি ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। এগুলো হলো, পূর্ণ গণতন্ত্র, ত্রুটিযুক্ত গণতন্ত্র, মিশ্র শাসন ও স্বৈরশাসন। গণতান্ত্রিক এই সূচকে গতবারের চেয়ে আটধাপ উন্নতি ঘটলেও বাংলাদেশের শাসনব্যবস্থাকে তৃতীয় শ্রেণির অর্থাৎ মিশ্র শাসনের অন্তর্ভুক্ত করেছে ইআইইউ।
বলা হয়েছে, ২০১৯ সালে এশিয়ার গণতান্ত্রিক দেশগুলোতে অনেক উথাল পাথাল হয়েছে। সবচেয়ে বেশি পরিবর্তন এসেছে তাইল্যান্ডে। ২০১৮ সালে তার স্কোর ছিল এক দশমিক ৬৯। ২০১৯ সালে হয়েছে ছয় দশমিক ৩২। গণতান্ত্রিক দেশগুলোর তালিকায় সে উঠে এসেছে ৩৮ ধাপ।
সিঙ্গাপুরে গত বছর ‘ফেক নিউজ’-এর বিরুদ্ধে আইন হয়েছে। এর ফলে তালিকায় নেমে গিয়েছে সেই দেশ। ডেমোক্র্যাসি ইনডেক্সে সবার ওপরে আছে নরওয়ে। তার প্রাপ্ত নম্বর ৯ দশমিক ৮৭। সব শেষে আছে উত্তর কোরিয়া। তার পাওয়া নম্বর এক দশমিক শূন্য আট। এছাড়াও ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো ১৬৬তম, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক ১৬৫তম, সিরিয়া ১৬৪তম ও চাদ ১৬৩।