স্টাফ রিপোর্টার
ভৈরব আশুগঞ্জ নদী বন্দরের একজন সহকারী পরিচালকের একটি লিজের কাগজ নিয়ে ইজারাদারেরা সুনামগঞ্জ থেকে খালিয়াজুরি পর্যন্ত টাকা আদায় করছে। মাইলের পর মাইল নদীর উভয় পাড় সহ বালু, পাথর, কয়লা, সিমেন্টবাহী নৌযান থেকে টোল আদায়ের নামে প্রতিদিন কোটি টাকা আদায় করছে। যে কারণে প্রাকৃতিক সম্পদের দাম, নির্মাণ ব্যয় বাড়ছে। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে জাতীয় অর্থনীতিতে। শুধু তাই নয় চাঁদাবাজী নিয়ন্ত্রণ আর অন্যায় প্রতিযোগিতার কারণে আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটছে।
সোমবার জাতীয় সংসদে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে সুনামগঞ্জ-সিলেট সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য অ্যাড. শামীমা শাহরিয়ার এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক ইচ্ছায় আমাদের নদীগুলো প্রাণ ফিরে পাচ্ছে। তাই নদী পথে ব্যবসা বাণিজ্যে ও সুশৃঙ্খল পরিবেশ আসতে শুরু করেছে। কিন্তু আমাদের সুনামগঞ্জের নদী পথে একটি বিশৃঙ্খল ও অরাজক অবস্থা উদ্ভব ঘটেছে। ব্রিটিশ আমল থেকে ছাতক এবং সুনামগঞ্জ ছাড়া সুনামগঞ্জ জেলায় আর কোন নদী বন্দর ছিল না। কিন্তু সম্প্রতি এসআরও ১০৭ নং ২০১৭ তারিখ অনুযায়ী সুনামগঞ্জ জেলার সুরমা বৌলাই ও আবুয়া নদীর প্রায় ৫০/৬০ কি.মি. নদীর উভয় পাড়কে নদী বন্দর হিসাবে ঘোষণা করে বিভিন্ন ব্যক্তিকে ফি আদায়ের জন্য লিজ দেয়া হয়েছে। অথচ এসব নদীর কোথাও স্টেশন, পল্টুন ও জেটি বা ব্যবস্থাপনা নাই। তাহলে কি করে সেখানে বিআইডবিøউটিএ লিজ দিতে পারে? বিশেষ করে নদীর পাড়ের বালু মহাল, পাথর মহাল বা বিভিন্ন হাট বাজার থেকে টোল আদায়ের জন্য কি বিআইডবিøউটিএ লিজ দিতে পারে?