স্টাফ রিপোর্টার::
আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সাংবাদিক, কমনওয়েলথ জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের ইমেরিটাস প্রেসিডেন্ট হাসান শাহরিয়ার, ভারতের প্রখ্যাত সাংবাদিক ও বুদ্ধিজীবী আশীষ চক্রবর্তী, সুনামঞ্জের পাইলগাঁও জমিদার ব্রজেন্দ্র নারায়ন চৌধুরীর নাতনী ও ভারতের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপিক ভাস্বতী চক্রবর্তী এবং অস্ট্রেলিয়া গ্রিফিথ ইউনিভার্সিটির সিনিয়র লেকচারারার এবং ক্যানসার শণাক্তকরণ যন্ত্রের উদ্ভাবক ড. মুহম্মদ জহিরুল আলম সিদ্দীকীর সম্মানে সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাব চা চক্রের আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সুনামগঞ্জ শহিদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত চা চক্রে সাংবাদিক ও সুধীজন উপস্থিত ছিলেন। চা চক্র শেষে প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ চার গুণীর হাতে শুভেচ্চা উপহার হিসেবে বই তুলে দেন।
সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি পঙ্কজ কান্তি দের সভাপতিত্বে ও সহ সভাপতি শামস শামীমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত চা চক্র অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন হাসান শাহরিয়ার, আশীষ চক্রবর্তী, ভাস্বতি চক্রবর্তী, ড. মুহম্মদ জহিরুল আলম সিদ্দিকী শামীম।
অন্ষ্ঠুানে উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ-সিলেট সংরক্ষিত আসনের সাবেক সংসদ এডভোকেট শামসুন্নাহার রব্বানী শাহানা, বিশিষ্ট সাংবাদিক হোসেন তওফিক চৌধুরী, প্রফেসর পরিমল কান্তি দে, লেখক সুখেন্দু সেন, এডভোকেট পীর মতিউর রহমান, কবি ইকবাল কাগজী, এডভোকেট সালেহ আহমদ, ক্রিড়া সংগঠক পারভেজ আহমদ, কবি কুমার সৌরভ, এডভোকেট রুহুল তুহিন, প্রভাষক শাহ আবু নাসের, এডভোকেট আনোয়ার হোসেন, এডভোকেট মাহবুবুল হাসান শাহিন, সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাবের সদস্য ও দৈনিক প্রথম আলোর স্টাফ রিপোর্টার খলিল রহমান, প্রভাষক মশিউর রহমান, ব্যাঙ্কার আশরাফ হোসেন লিটন, চ্যানেল আই প্রতিনিধি ও প্রেসক্লাব সেক্রেটারি একেএম মহিম, সুনাগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক এমরানুল হক চৌধুরী, সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক মাহমুদুর রহমান তারেক, বিন্দু তালুকদার, ইনডিপেন্ডেন্ট প্রতিনিধি জাকির হোসেন, ডিবিসি প্রতিনিধি আমিনুল ইসলাম, একাত্তরের কথার প্রতিনিধি আহমদ মুজতবা রাজী, বাংলানিউজ প্রতিনিধি আশিকুর রহমান পীর, জাগোনিউজ প্রতিনিধি মোশাহিদ রাহাত প্রমুখ।
অধ্যাপক ভাস্বতী চক্রবর্তী বলেন, বাংলাদেশের মানুষের আন্তরিকতার অভাব নেই। আমার পূর্ব পুরুষ এই এলাকার মানুষ ছিলেন। আমি নারীর টানে ফিরে এসেছি। আপনারা আপ্যায়নে আমাদের মন জয় করেছেন। এবার এসে আরো বেশি ভালো লাগলো। তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক ইতিহাস চর্চার জন্য জনগণ পর্যায়ে উদ্যোগ নিতে হবে। তিনি বলেন, একসময় আমাদের পশ্চিম বঙ্গ ও এই অঞ্চলের ইতিহাস ছিল অভিন্ন। এই ইতিহাসের চর্চা হলে এবং জনগণের সঙ্গে সংযোগ বাড়ালে সম্পর্কের উন্নয়ন হবে এবং স্থায়ী হবে। তিনি বলেন এই আঞ্চলিক ইতিহাস ভান্ডার রক্ষা করা দরকার। তবে বাংলাদেশের জনগণকেই উদ্যোগ নিতে হবে। আমরা আমাদের ভারতে গিয়েও সেই চেষ্টা করব।
প্রখ্যাত সাংবাদিক ও বুদ্ধিজীবী আশীষ চক্রবর্তী বলেন, আমি বহুবার বাংলাদেশে এসেছি। দুই নেত্রীর ইন্টারভিউ করেছি। মন্ত্রী, এমপি, আমলাসহ বিশিষ্টজনদের সঙ্গে মিশেছি। কিন্তু এবারের মেশা প্রান্তিক মানুষের সঙ্গে। এই মেশা স্বার্থক হয়েছে। এভাবে জনগণ পর্যায়ে সংযোগ বাড়লে দুই দেশের বিশেষ করে পশ্চিম বঙ্গ ও বাংলাদেশের মানুষের ঐতিহাসিক সম্পর্ক বজায় ও স্থায়ী হবে। তিনি বলেন, সুনামগঞ্জের পাইলগাওয়ের জমিদার ব্রজেন্দ্র নারায়ণ চৌধুরী ছিলেন সমাজহিতৈষী। তার যে বাড়িটি রয়েছে তা মানুষের কাজে লাগানো যায় কি না চেষ্টা করা দরকার।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ও পশ্চিমবঙ্গের সংবাদ মাধ্যম বড় বেশি রাজনীতি নিয়ে কথা বলে। এবার দুই পক্ষকেই মানুষের কথার চর্চা করা উচিত। রাাজনীতি ছাড়াও সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ইতিহাস নিয়ে চর্চা বাড়ানো হলে সম্পর্কের উন্নয়ন হবে। প্রান্তিক মানুষ এটাই চায়।