স্টাফ রিপোর্টার::
সুনামগঞ্জ সীমান্তের আদিবাসী খ্রিস্টান পল্লীতে উৎসবমুখর পরিবেশে শুভ বড়দিন উদযাপিত হয়েছে। সুনামগঞ্জ জেলার প্রায় ৩০ টি ম-লিতে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়। বিশেষ প্রার্থনায় দেশ ও মানুষের কল্যাণ কামনা করেন খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বিরা। পারিবারিক ও গীর্জাঘরে প্রার্থনায় গাইবান্দার গোবিন্দগঞ্জে আদিবাসী খ্রিস্টান পল্লীর নির্যাতিতদের প্রতি সংহতি জানিয়ে তাদের পুনর্বাসন ও জমি ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। বড়দিন অনুষ্ঠানে বিভিন্ন পেশাজীবি সংগঠনের লোকজন খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বিদের শুভেচ্ছা জানিয়েছে।
সুনামগঞ্জ খ্রিস্টান এসোসিয়েশন সূত্রে জানা গেছে সুনামগঞ্জ জেলার সদর, বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর, দোয়ারাবাজার, ছাতক ও ধর্মপাশা উপজেলায় প্রায় ২০ টির মতো গ্রাম রয়েছে। যারা আদিবাসী খ্রিস্টান। দিবসটি উপলক্ষে প্রতিটি খ্রিস্টান পল্লীতে উৎসবের আমেজ চলছে। ঘরবাড়ি রাঙ্গানো হয়েছে নানা রকম আলোতে। খ্রিস্টমাস ট্রি দিয়ে সাজানো হয়েছে ঘর। শনিবার রাত ১২ টার পর খ্রিস্টান পল্লীর তরুণ-তরুণিরা গ্রামের প্রতিটি পাড়ার বাড়ি বাড়ি ঘুরে নেচে গেয়ে কীর্তন পরিবেশন করে বড়দিন বাড়িতে গিয়ে আনন্দে মাতে। রবিবার সকাল থেকে বড়দিন বাড়িতে আহার করেন সবাই। তাছাড়া ২০ টি গ্রামে প্রায় ৩০টি গীর্জা রয়েছে। যেখানে ৩০টি ম-লি রয়েছে। এসব ম-লীতে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। মাতৃতান্ত্রিক পরিবারের এসব আদিবাসীরা বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকায় উৎসব উপলক্ষে নারীর টানে বাড়িতে ফিরেছেন। তারা আনন্দ উৎসবে মেতেছেন। যীশু খ্রিস্টের নামে প্রার্থনা করেছেন মানুষের জন্য। শনিবার রাতেই কেক কেটে উৎসব উদযাপন করেছেন তারা।
তাহিরপুরের আদিবাসী পল্লীতে বিশেষ প্রার্থনায় দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে প্রার্থনা করা হয়। সম্প্রতি গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে নির্যাতিত আদিবাসী খ্রিস্টানদের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে তাদের পুনর্বাসনের আহ্বান জানানো হয়।
সুনামগঞ্জ খ্রিস্টান এসোসিয়েশন এর নেতা শংকর মারাক বলেন, সুনামগঞ্জ জেলার প্রায় ২০টি আদিবাসী খ্রীস্টান পল্লীতে শুভ বড়দিন আনন্দ-বিনোদনের মাধ্যমে উদযাপিত করা হয়েছে। আমরা প্রতিটি ম-লিতে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে প্রার্থনা করেছি। ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে দেশের সকাল সম্প্রদায়ের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করার ্আহ্বান জানিয়েছি। বিশেষ করে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে আদিবাসী খ্রিস্টান পল্লীতে হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন ও সহায়তার দাবি জানিয়েছি।