বিশেষ প্রতিনিধি::
হাওররক্ষা বাঁধের দুর্নীতির প্রতিবাদ করায় জামালগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধা লাঞ্চিত হয়েছেন। এ ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বৃহষ্পতিবার দুপুরে জামালগঞ্জ উপজেলা সদরে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গত ২৮ জানুয়ারি জামালগঞ্জের হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের কাজে অনিয়ম, দুর্নীতি ও নীতিমালা বহির্ভূত প্রকল্প গ্রহণ ও অনুমোদনের প্রতিবাদে সুনামগঞ্জ শহরে জামালগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মুক্তিযোদ্ধা ধীজেন্দ্র লাল রায়সহ রাজনীতিবিদ ও কৃষকরা সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে তারা হাওররক্ষা বাঁধের কাজে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রিয়াঙ্কা পালসহ একটি সিন্ডিকেট দুর্নীতি করছে বলে অভিযোগ করেন। তারা অভিযুক্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রিয়াঙ্কা পালের অপসারণও দাবি করেন। পাশাপাশি শেখ হাসিনার নির্দেশ অনুসারে যথাসময়ে ও যথা নিয়মে হাওরের ফসলরক্ষা বাধের কাজ শেষ করার দাবি জানান।
এদিকে এই সংবাদ সম্মেলনের পরদিন বুধবার জামালগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পক্ষে হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের কাজে নিয়োজিত পিআইসিসহ (প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটিসহ) একটি সুবিদাবাদী গোষ্ঠী সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগকারীদের হুমকি ধমকিসহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পক্ষে কথা বলেন। এ ঘটনার পরদিন বৃহষ্পতিবার মুক্তিযোদ্ধা ধীজেন্দ্র লাল রায়সহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ, কৃষক লীগ এবং হাওরের সুবিদাভোগী কৃষকরা প্রতিবাদের প্রস্তুতি নেন। এই খবর পেয়ে জনৈক আজাদসহ একটি গ্রুপ কৃষক লীগের অফিসে গিয়ে আকষ্মিক হামলা চালায়। মুক্তিযোদ্ধা ধীজেন্দ্র লাল দাস এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে তাকে লাঞ্চিত করা হয়। এতে আবু তাহের, আবুল কাশেমসহ কয়েকজন আহতও হন।
মুক্তিযোদ্ধা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ধীজেন্দ্র লাল রায় বলেন, আমরা হাওরক্ষা বাঁধের দুর্নীতির প্রতিবা করায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তার পিআইসির লোকজন দিয়ে আামাদের উপর অতর্কিত হামলা করিয়েছেন। তারা আমার গায়েও হাত তুলেছে। আমি এ ঘটনায় জেলা প্রশাসকসহ উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগের প্রস্তুতি নিচ্ছি।
তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধে কোন অনিয়ম ও দুর্নীতিসহ এসব ঘটনায় তিনি জড়িত নন।