স্টাফ রিপোর্টার::
সৈয়দপুর গ্রামেন পাশ দিয়ে বহমান মাগুরা নদীর উপর নির্মিত সেতুর পুর্বপাশেসরকারী জায়গা তথা নদীর পাড় এবং পাবলিক টয়লেট দখল করে দীর্ঘদিন ধরে বানিজ্যিক দোকানকোটা নির্মাণ করে ভাড়া দিয়ে অবৈধভাবে ভোগ করে আসছিলেন এলাকায় ভুমিখেকো হিসেবে পরিচিত শেখ সালেহ আহমদ। তিনি আওয়ামী লীগ নেতা দাবী করে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে এলাকাবাসীদের তটস্থ করে রেখেছেন বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। যদিও তিনি পুর্বে জাতীয় পার্টির নেতা ছিলেন।
সংকীর্ণ রাস্তার কারণে এ এলাকায় যান চলাচল হুমকীতে পরে। কিছুদিন পুর্বে সৈয়দপুর নিবাসী আওয়ামী লীগ নেতা এলাইছ মিয়া দুর্ঘটনার শিকার হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন। দুর্ঘটনায় তার পা ভেঙ্গে যায়। শেখ সালেহ আহমদ ছোট মিয়া উগ্র ও সন্ত্রাসী প্রকৃতির হওয়ায় এলাকাবাসী তার বিরুদ্ধে কিছু বলতে না পেরে জেলা প্রশাসক বরাবরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদপুর্বক সংকীর্ণ রাস্তা দখলমুক্ত করার ব্যবস্থা গ্রহনের আবেদন জানান। জেলা প্রশাসক কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে বিগত ০৩/০২/২০২০ সহকারী কমিশনার (ভুমি) পরিদর্শনে গিয়ে সত্যতা পেয়ে নিজ দায়িত্বে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দেন। তিনি দৈনিক একাত্তরের কথাকে জানান, সত্যতা পেয়ে মৌখিকভাবে তাদের মালামাল সরিয়ে নিতে বলেছি। না হলে সরকারী জায়গা দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এ ব্যাপারে সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে।
মৌখিক নির্দেশ স্বত্ত্বেও স্থাপনা সরিয়ে না নেয়ায় অাজ ৫ ফেব্রুয়ারী সহকারী কমিশনার (ভুমি) মো. ইয়াসির আরাফাতের উপস্থিতিতে অবৈধ স্থাপনা ভেঙ্গে সরকারী জায়গা উদ্ধার করা হয়। অভিযান পরিচালনায় সহায়তা দানে জগন্নাথপুর থানা পুলিশের একটি দল উপস্থিত ছিল।
সৈয়দপুর এলাকার বাসিন্দা সৈয়দ মিজান ও সৈয়দ সাইদুল হক জানান, এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবী। এখন পুরো স্থাপনা ভেঙ্গে সংকীর্ণ রাস্তাঘাট প্রশস্ত হলে জনমনে স্বস্তি ফিরে আসবে। এ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আমরা এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই।