হাওর ডেস্ক ::
পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেছেন, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে সারা বাংলাদেশে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছি। বুড়িগঙ্গার মতো সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। অবৈধ নদী ও খাল দখলকারী যে-ই হোক কাউকে ছাড় দেওয়া হেব না। অবৈধ দখলদার যারাই থাকুক না কেন সকলকেই উচ্ছেদের আওতায় নিয়ে আসা হবে। এই প্রক্রিয়া সারা দেশে চলছে, গোপালগঞ্জেও চলছে, এই প্রক্রিয়া চলমান থাকবে।
তিনি আজ শনিবার দুপুরে গোপালগঞ্জের পাচুড়িয়া-টুঙ্গিপাড়া খালের গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার পারকুশলী নামক স্থানে চলমান খনন কাজ পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
উপমন্ত্রী বলেন, এই খাল দিয়েই নৌকায় করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টুঙ্গিপাড়া থেকে গোপালগঞ্জ আসতেন। আমিও একবার ১৯৮৪ সালে এই খাল দিয়ে টুঙ্গিপাড়ায় গিয়ে জাতির পিতার মাজার জিয়ারত করেছিলাম। ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে জাতির পিতার স্মৃতিবিজড়িত এই খাল খনন ও তীর সংরক্ষণ কাজ করে এর শোভা বর্ধন করা হবে। একই সাথে জেলা সদরের হরিদাসপুর নৌ-ডাকবাংলো যেখানে জাতির পিতা লঞ্চ থেকে নেমে বসতেন সেই ডাকবাংলোও স্মৃতি হিসেবে সংরক্ষণ করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
উপমন্ত্রী আরো বলেন, এই জেলার মানুষকে নদীভাঙন, জলাবদ্ধতা ও নৌপথ সচল করার জন্য গোপালগঞ্জের নদী ও খাল খনন, পশ্চিম গোপালগঞ্জ সমৃদ্ধ পানি ব্যবস্থাপনা প্রকল্প, পাচুড়িয়া খাল খনন প্রকল্পসহ গোপালগঞ্জে ১১৬০ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে পাচুড়িয়া খাল খননের কাজ শুরু হয়েছে, একনেকে পাস করে বাকি কাজ পর্যায়ক্রমে শুরু করে এ সরকারের মেয়াদেই শেষ করা হবে।
উপমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলে বৃহত্তর ফরিদপুরে উন্নয়নমূলক কাজ হয়, অন্য কোনো সরকারের আমলে বৃহত্তর ফরিদপুরের কোনো কাজ হয় না। তাই আমরা পানিসম্পদ ও নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে যে সকল কাজ আমরা হাতে নিয়েছি তা দ্রুত শেষ করার চেষ্টা করব।
এর আগে উপমন্ত্রী বেলা ১১টায় টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিসৌধ বেদিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান। পরে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারেরর নিহতদের আত্মার শান্তি কামনায় মোনাজাত করা হয়।