স্টাফ রিপোর্টার::
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার জয়নগর বাজার মঈনুল হক কলেজের অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতির বিষয়টি আইন শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির মাসিকসভায় উত্তাপন হয়েছে। তার দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার তদন্ত করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছেন জেলা আইন শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির সদস্য ও তাহিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান করুনা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল। তার বক্তব্যের আলোকে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
করুণা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল তার বক্তব্যে বলেন, সুনামগঞ্জের সুন্দর পরিবেশে মঈনুল হক কলেজের অবস্থান। সম্প্রতি পত্র পত্রিকায় কলেজ অধ্যক্ষের অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও দুর্নীতিসহ ছাত্রী পেটানোর ঘটনায় আমরা উদ্বিগ্ন। তিনি তার ইচ্ছেমতো ভূয়া সদস্য বানিয়ে ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করে একক সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। ইচ্ছেমতো ফি আদায় করে সেটা তছরুপ করছেন। এ নিয়ে কথা বললে শিক্ষার্থীদের প্রভাবিত করে প্রতিষ্ঠাতার বিরুদ্ধে মিছিল করিয়ে ওই মিছিলে জননেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধেও স্লোগান দিয়েছেন। তিনি সুনামগঞ্জ-৪ আসনে গত জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে প্রচারণা চালিয়ে ওই প্রচারণায় ছাত্রদের বাধ্য করে ব্যবহার করেছেন। এসব অভিযোগ সম্প্রতি শিক্ষার্থীরাই লিখিতভাবে জেলা প্রশাসক বরাবরে দাখিল করেছেন। তার দুর্নীতির বিচার দাবি করায় তিনি এলাকার প্রতিবাদকারীদের বিরুদ্ধে বেনামে নোংড়া ও আপত্তিকর ভাষায় বিভিন্নজনের ঠিকানায় উড়ো চিঠিও দিচ্ছেন। তাছাড়া তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগে দেখা যায় তার স্ত্রীকে ভাইস প্রিন্সিপাল করেছেন। তার ভাই, ভাবী ও অন্যান্য আত্নীয় স্বজন এলাকায় না থাকলেও তাদেরকে চাকুরি দিয়েছেন, ম্যানেজিং কমিটিতে স্থান দিয়ে একাই সব সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। স্বেচ্ছাচারিতার কবল থেকে আমাদের জেলার এই সুন্দর প্রতিষ্ঠানটিকে রক্ষা কল্পে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। বাবুল চৌধুরী আরো বলেন, আমাদের মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ও বিষয়টি জানেন। তিনিও অধ্যক্ষের অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের বলেছেন।
উপজেলা চেয়ারম্যান করুনা সিন্ধু চৌধুরী বলেন, পত্র পত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমি এই কলেজের অব্যবস্থাপনার বিষয়টি অবগত হয়ে আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছি।
সভায় উপস্থিত সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসমিন নাহার রুমা বলেন, অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়টির তদন্ত শেষ পর্যায়ে। ২-৪ দিনের মধ্যেই ডিসি স্যারের কাছে প্রতিবেদন জমা দেব।