1. haornews@gmail.com : admin :
  2. editor@haor24.net : Haor 24 : Haor 24
শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:১৫ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
জামালগঞ্জে নবাগত জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় সভা সিলেটে শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসারকে অপসারণের দাবিতে গণস্বাক্ষর কার্যক্রম ২৫০ শয্যা হাসপাতালে সেবার মান বাড়ানোর দাবিতে মতবিনিময় সুনামগঞ্জে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া ও মিলাদ বন্যার্তদের সহায়তায় সুনামগঞ্জে শিল্পকলা একাডেমির ব্যতিক্রমী ছবি আঁকার কর্মসূচি জগন্নাথপুরে শিক্ষিকা লাঞ্চিত: দোষীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতাবিরোধী সকল কালাকানুন বাতিলের দাবি সাবেক ছাত্রলীগ নেতা পান্নার মরদেহ হস্থান্তর করলো মেঘালয় পুলিশ কাদের সিদ্দিকী বললেন: বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ আর শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ এক নয় বাংলাদেশে সাম্প্রতিক বন্যায় ২০ লাখ শিশু ঝুঁকিতে : ইউনিসেফ

নোট-গাইডের বিকল্প খুঁজছে সরকার

  • আপডেট টাইম :: মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২০, ৪.৫৮ পিএম
  • ১৮৭ বার পড়া হয়েছে

হাওর ডেস্ক ::
শিক্ষার্থীদের প্রতি নোট ও গাইড বই ব্যবহার না করার নির্দেশ থাকলেও এটি বন্ধ হচ্ছে না। বরং শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাপক চাহিদা থাকায় নোট ও গাইড-নির্ভরতা কমানো যায়নি বিগত কয়েক বছরে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ‘অ্যাকটিভ লার্নিং’ না থাকায় নোট ও গাইডের ব্যবহার বেড়েই চলেছে। এই পরিস্থিতিতে কীভাবে নোট ও গাইডের কবল থেকে শিক্ষার্থীদের রক্ষা করা যায়, তার বিকল্প খুঁজছে সরকার।

জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, ‘আমরা নোট ও গাইডের বিকল্প খুঁজছি। নোট বই ও গাইড ছাড়া শিক্ষার্থীরা যেন ভালোভাবে লেখাপড়া করতে পারে, সেই কৌশলটি কেমন হতে পারে, তা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করছি।’

বাজার থেকে নোট ও গাইড বই পুরোপুরি তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে কিনা, জানতে চাইলে মাহবুব হোসেন বলেন, ‘সুনির্দিষ্টভাবে সে রকম কোনও সিদ্ধান্ত এখনও নেওয়া হয়নি। আমরা বোঝার চেষ্টা করছি, কেন নোট ও গাইড বই চলছে, কেন তা বাজারে আছে।’ তিনি বলেন, ‘নোট ও গাইড নিয়ে অভিযোগ আছে। এত নির্দেশনার পরও কেন তা বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না, বিকল্প কিছু করার সুযোগ আছে কিনা, আমরা তা যাচাই করার চেষ্টা করছি।’

নোট ও গাইড বই বাজার থেকে তুলে দিলে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার মান কমে যাবে কিনা এবং ফল বিপর্যয় হতে পারে কিনা, জানতে চাইলে সচিব বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের বিপদে ফেলতে চাই না। ভালো কিছু করতে চাই।’

তবে নোট ও গাইড বইয়ের লেখক ও প্রকাশকরা বলছেন— নোট বই বলে এখন আর কিছু নেই। সৃজনশীল পদ্ধতি চালু করার পর থেকে বাজারে চলছে শিক্ষা সহায়ক বই। ক্লাসে ‘অ্যাকটিভ লার্নিং’ অপর্যাপ্ত এবং পাঠ্যবই কঠিন হওয়ায় শিক্ষা সহায়ক বই ব্যবহার করে শিক্ষার্থীরা তাদের লেখাপড়ায় উন্নতি করছে।

অন্যদিকে, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) ক্লাসে নোট ও গাইড বই না পড়াতে প্রতিবছর নির্দেশনা জারি করে আসছে। প্রতিবছরেই অভিযোগ ওঠে যে, এসব নোট ও গাইড ক্লাসে পড়ানো না হলেও শিক্ষার্থীদের কিনতে বাধ্য করা হয়। এই কারণেই এনসিটিবি পাঠ্যবই বিতরণের আগেই গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে এই নির্দেশনা দেয়।

চলতি বছর নোট ও গাইড বই কিনতে বাধ্য করার অভিযোগ ওঠার পর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর গত ২০ জানুয়ারি নির্দেশনা জারি করে। ওই নির্দেশনায় বলা হয়, ‘কারিকুলামের বাইরে শিক্ষার্থীদেরকে অতিরিক্ত বই কেনা বা নোট বই পড়তে ও কিনতে বাধ্য করা হচ্ছে— যা বিধি পরিপন্থী ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।’ তবে নোট ও গাইড বই বাজারজাত না করার বিষয়ে কোনও নির্দেশনা দেওয়া হয়নি আদেশে। শিক্ষার্থীদের কেনার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও বিক্রির ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা নেই।

নোট-গাইডের ব্যবহারের বিষয়ে জানতে চাইলে উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ড. উম্মে সালমা বেগম বলেন, ‘বই কঠিন, শিক্ষকের সহায়তা ছাড়া শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারবে না। স্কুলেও পুরোপুরি সহায়তা পাচ্ছে না। তাই শিক্ষার্থীরা নোট ও গাইড বইয়ের সহায়তা নিচ্ছে। এক বছরে ১৪০ দিন ক্লাস নিতে পারি। অথচ পুরো বছরের জন্য কারিকুলাম। কারিকুলাম ঠিক মতো বাস্তবায়ন হয় না। ফলে শিক্ষার্থীরা নোট ও গাইডের সহায়তা নেয়। আর যেখানে সহজেই নোট-গাইড পাওয়া যাচ্ছে, সেখানে শিক্ষকরাও সহজেই তা গ্রহণ করছে। এছাড়া, দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সব শিক্ষক ক্যাপাবল না।’

এ বিষয়ে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ফওজিয়া রেজওয়ান বলেন, ‘নোট ও গাইড না থাকলেই ভালো। তবে রাতরাতি উঠিয়ে দিলে সমস্যা হবে। বেসরকারি অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মান যাচাই না করেই টাকার বিনিময়ে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সেসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা নোট ও গাইড বইয়ের ওপর নির্ভরশীল। নামকরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করার কারণে ঠিক মতো ক্লাস হয় না। তখন শিক্ষার্থীদের নির্ভর করতে হয় নোট ও গাইডের ওপর। এটা দীর্ঘদিনের কালচার। এর সঙ্গে অনেক কিছু জড়িত, শিক্ষার মানও জড়িত। অনেকগুলো মানুষ এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত। এটা হঠাৎ করে তুলে ফেললে, বিরূপ প্রভাব পড়বে। ধীরে ধীরে তুলে দিতে হবে।’

মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্র-অভিভাবক মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া পুরোটা হলে নোট-গাইডের প্রয়োজন হতো না। নাম করা প্রতিষ্ঠানেও ঠিক মতো লেখাপড়া হয় না। অনেক শিক্ষক রয়েছেন, যারা সৃজনশীল বিষয়টি কী তা জানেন না, তাহলে শিক্ষার্থীরা নোট-গাইড ছাড়া কীভাবে লেখাপড়া করবে। দেশের সব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদেরকে প্রশিক্ষণ দিয়ে ক্লাসে ঠিকঠাক লেখাপড়া করাতে হবে। তাহলে নোট-গাইডের দরকার হবে না। তাছাড়া হঠাৎ তুলে দিলে শিক্ষার্থীরা লেখাপড়ায় পিছিয়ে যাবে। প্রতিবছর যে বাম্পার ফল হয়,তা থাকবে না।’

জানতে চাইলে লেকচার পাবলিকেশন্সের মালিক এম. শরিফুল আলম বলেন, ‘সৃজনশীল পদ্ধতি আসায় নোট ও গাইড বলে কিছু নেই। বাজারে যা রয়েছে এগুলো শিক্ষাসহায়ক বই। পাঠ্যবইয়ের সহায়ক হিসেবে বইগুলো কাজ করে। ভারত, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, লন্ডন, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশে শিক্ষা হায়ক বই রয়েছে। উন্নত দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিক্ষার্থীদের মান উন্নয়নে মেধাবীদের দিয়ে বইগুলো মূদ্রণ করা হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘পাঠক্রম পরিবর্তন করে সৃজনশীল পদ্ধতি আনা হয়েছে। এই পদ্ধতি বাস্তবায়নের জন্য শিক্ষকরা পুরোপুরি প্রশিক্ষিত নন। ফলে সহায়ক বই করা হয়েছে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সহায়তার জন্য। ক্লাসে যা শিক্ষার্থীদের পড়ানো হচ্ছে, তা শিক্ষার্থীরা আয়ত্তে আনতে না পারলে বা ভুলে গেলে, শিক্ষা সহায়ক বইয়ের মাধ্যমে সে উপকৃত হবে।’

Print Friendly, PDF & Email

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
themesbazarhaor24net
© All rights reserved © 2019-2024 haor24.net
Theme Download From ThemesBazar.Com
error: Content is protected !!