সাজ্জাদ হোসেন শাহ্:
তাহিরপুর উপজেলার পল্লীতে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে জমি দখলকে কেন্দ্র করে নারী পুরুষসহ দুই পক্ষের সংঘর্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। এঘটনায় পুলিশ উভয় পক্ষের ১১জনকে আটক করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের দুধেরআউটা গ্রামে। গুরুতর আহত ১২জন কে সুনামগঞ্জ ও তাহিরপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে আশংকাজনক অবস্থায় উভয় পক্ষের ৭জনকে সিলেট এম এজি উসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। আশংকাজনকরা হলেন, মো. নয়ন মিয়া (৪৫), এসএসসি পরীক্ষার্থী রেজ্জাক মিয়া (১৮), কাজিম মিয়া (৩৫), রতন মিয়া (২২), কাঞ্জন মিয়া (২০), আলী হায়ার (৩৫), সুরমিনা বেগম (১৮)। অপরদিকে তাহিরপুর ও সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে মল্লিক মিয়া (৪০), দুলাল মিয়া (৫০), গোলাম মোস্তফা মিয়া (২৫), উজ্জল মিয়া (৩০), কামাল মিয়া (৪০), হবিব মিয়া (৪৫)। অন্যান্য আহতদের স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। সংঘর্ষের সংবাদ পেয়ে তাহিরপুর থানার ওসি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তাৎক্ষনিক গ্রামে অভিযান চালিয়ে উভয় পক্ষের ১১ জনকে আটকসহ বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র জব্দ করেছে। আটককৃতদের তাৎক্ষনিক নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলা শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের দুধেরআউটা গ্রামের মো. মল্লিক মিয়া ও তাজুদ আলী এবং একই গ্রামের পেয়ার আলী মড়ল ও মো. নুরুল হকের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্ধ চলে আসছে। এরই ধারাবাহিতকায় গতকাল সোমবার দুপুরে মল্লিক মিয়া তার পৈতৃক জমিতে সীমানা নির্ধারন করে খুটি মারতে গেলে প্রতিপক্ষ পেয়ার আলীর লোকজন তাতে বাধা দেয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে কথাকাটাকাটির জের ধরে দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে প্রথম দিনে প্রায় ঘন্টাব্যাপি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পরে মঙ্গলবার ভোরে দ্বিতীয় দিনে আবার একই বিষয় নিয়ে উভয় পক্ষের লোকজন প্রায় ২ ঘন্টা ব্যাপি রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। এতে প্রায় উভয় পক্ষের ২০ জন আহত হয়। সংঘর্ষের সংবাদ পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে উভয় পক্ষের লোকজনকে চত্রভঙ্গ করে দিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করতে দেখা গেছে।
তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আতিকুর রহমান জানান, সংঘর্ষের সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন এবং উভয় পক্ষের ১১জনকে আটকসহ তাদের বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে। গ্রামে যেন ফের সংঘর্ষের ঘটনা না ঘটে সেজন্য পুলিশ ঘটনাস্থলে নিয়মিত টহল দিচ্ছে। এছাড়া এঘটনায় থানায় এখন পর্যন্ত কোন পক্ষই অভিযোগ নিয়ে আসেনী।