স্টাফ রিপোর্টার::
সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থন বঞ্চিত প্রার্থী নূরুল হুদা মুকুটকে নিয়ে তৃণমূলে নিরলস প্রচারণা চালিয়েছেন আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদ সদস্য ও সুনামগঞ্জ পৌর মেয়র আয়ূব বখত জগলুল। গত ৫ নভেম্বর আয়ূব বখত জগলুলের উদ্যোগে শহীদ আবুল হোসেন মিলনায়তনে সুনামগঞ্জ জেলার স্থানীয় সরকারের সকল জনপ্রতিনিধিকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজক হিসেবে জেলা পরিষদ নির্বাচনে নূরুল হুদা মুকুটকে সমর্থনদানের জন্য তিনি আহ্বান জানালে সুনামগঞ্জের প্রায় সকল উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্যরা হাত তোলে নূরুল হুদা মুকুটকে সমর্থন জানান। পরবর্তীতে নূরুল হুদা মুকুট আওয়ামী লীগের সমর্থন বঞ্চিত হলে মর্মাহত হন আয়ূব বখত জগলুলসহ নূরুল হুদা মুকুট ও তার সমর্থকরা। তাছাড়া তৃণমূলের জনপ্রিয়তা ও সাংগঠনিক শক্তিকে পূজি করে নূরুল হুদা মুকুট বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন বলে মনে করেন তার সমর্থকরা।
এঘটনায় মনোক্ষুন্ন হয়েও নূরুল হুদা মুকুটকে নিয়ে ঘুরে দাড়ান আয়ূব বখত জগলুল। তিনি ফের প্রতিজন জনপ্রতিনিধিদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে নূরুল হুদা মুকুটকে নিয়ে ভোটপ্রার্থনা করেন। নূরুল হুদা মুকুটও তার বিনয় ও আচারাদি দ্বারা আকৃষ্ট করেন জনপ্রতিনিধিদের।
গত ২১ ডিসেম্বর তাহিরপুরে স্থানীয় সাংসদ জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে বিধি ভেঙ্গে বৈঠক করতে চাইলে রূখে দাড়ান আয়ূব বখত জগলুল। এভাবে চ্যালেঞ্জ নিয়ে নূরুল হুদা মুকুটের কাধে কাধ মিলিয়ে কাজ করেন শেষ পর্যন্ত। নির্বাচনী বিশ্লেষক ও স্থানীয় রাজনীতিবিদগণ বলছেন মুকুট-জগলুলের সম্মিলিত প্রচারণার কারণেই কাঙ্খিত ফলাফল পাওয়া গেছে। তাছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মতিউর রহমানের অবদানের কথাও স্বীকার করেছেন অনেকে।
আয়ূব বখত জগলুল বলেন, গত ৫ নভেম্বরই ফলাফল নির্ধারিত করেছিলেন স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা। তারা আমাদেরকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছেন। তার প্রমাণ করে দিয়েছেন জনপ্রতিনিধিরা কোন পেশি শক্তি ও ক্ষমতাধরকে ভয় পানননা।
নূরুল হুদা মুকুট ৭৮২ ভোট পেয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্ধি আওয়ামী লীগ সমর্থিত পরাজিত প্রার্থী ব্যারিস্টার এম. এনামুল কবির ইমন পেয়েছেন ৪২০ ভোট।