জামালগঞ্জ অফিস
একসময় কৃষি হিসেবে বোরো ধানকেই আমরা মনে করতাম। ধান চাষ এখন অলাভজনক হওয়ায় কৃষকরা ধান চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। তাই ধানের বিকল্প হিসেবে ভুট্টা, সূর্যমুখী ফুল, টমেটো, মরিচ, বেগুন, সরিষা চাষে আপনাদের আগ্রহ বাড়াতে হবে। প্রতি বিঘা ধানে যে পরিমাণ লাভ হয়, তার চেয়ে অধিক লাভ এখন সবজি ও সরিষা চাষে। এসব সবজি চাষের জন্য কৃষকের পাশাপাশি কৃষাণীদেরও এগিয়ে আসতে হবে।
জামালগঞ্জের ফেনারবাঁক ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের ভুট্টা ও সূর্যমুখী ফুল চাষীদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আহাদ।
তিনি আরও বলেন, রামপুর গ্রামে বিদ্যুৎ আসবে আজ থেকে বিশ বছর আগে কেউ কল্পনাও করতে পারেনি। কিন্তু আজ বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত রামপুরসহ সারা উপজেলা। সরকারের এই সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে আপনারা কৃষিতে বিপ্লব ঘটাতে পারবেন।
বুধবার বিকেলে ভুট্টা ও সূর্যমুখী ফুলের বাগান পরিদর্শন শেষে রামপুর গ্রামের ফুল চাষী ফজলুল হকের বাড়ির সামনে উপজেলা তথ্য আপা প্রকল্পের আয়োজনে উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসাবে মিলিত হন জেলা প্রশাসক। এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রিয়াংকা পাল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ জেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মোহাম্মদ সফর উদ্দিন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান (প্যানেল-১) বীনা রানী তালুকদার, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আজিজুল হক, ফেনারবাঁক ইউপি চেয়ারম্যান করুণা সিন্ধু তালুকদার, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমা-ার আব্দুর রাজ্জাক।