হাওর ডেস্ক::
সাত বছরের দাম্পত্য সম্পর্ক ভেঙে গেল ঢাকার চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়িকা শাবনূরের। তার স্বামী অনিক মাহমুদকে তালাক দিয়েছেন তিনি।
গত ২৬ জানুয়ারী এক আইনজীবীর মাধ্যমে অনিক মাহমুদের ঠিকানায় তালাকের নোটিশ পাঠান শাবনূর।
২০১১ সালের ডিসেম্বরে ব্যবসায়ী অনিক মাহমুদ সঙ্গে আংটি বদলের পর ২০১২ সালের ডিসেম্বর পারিবারিকভাবে বিবাহ-বন্ধনে আবদ্ধ হন শাবনূর-অনিক। এরপর নানা সময়েই তাদের বিচ্ছেদের গুঞ্জন ছড়ালেও তা নাকচ করে দেন দুজনেই।
শাবনূরের আইনজীবী কাওসার আহমেদ দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে জানান, নোটিশটি পাঠানোর পর অনিকের ঢাকার অস্থায়ী ঠিকানা থেকে ফেরত এসেছে। তবে গাজীপুরের স্থায়ী ঠিকানা থেকে নোটিশটি ফেরত আসেনি।
এই আইনজীবি মনে করছেন নোটিশটি এতদিনে ফেরত না আসায় সেটি গ্রহণ করা হয়েছে বলে অনুমান করা যায়। অনিক ছাড়াও ওই এলাকার আইন ও সালিশ কেন্দ্রের চেয়ারম্যান এবং কাজী অফিস বরাবরও পাঠানো হয়েছে চিঠিটি।
৬ বছর বয়সী পুত্রসন্তান আইজান নিহানকে নিয়ে বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করেছেন শাবনূর। এ বিষয়ে জানতে চেয়ে তার হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে নক দেওয়া হলেও তিনি মেসেজ সিন করে কোনো উত্তর দেননি।
শাবনূরের পাঠানো নোটিশে তালাকের কারণ হিসেবে ‘বনিবনা না হওয়ার’ কথা লেখা হয়। তবে আইনজীবী কাওসার আহমেদ জানিয়েছেন বনিবনা না হওয়ার ‘মূল কারণ’।
তিনি জানান, শাবনূরকে বিয়ে করার আগে অনিক মাহমুদ আরও একটি বিয়ে করেছিলেন। সেটি এতোদিন আড়াল করে রেখেছিলেন তিনি। এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পরই মূলত পরিবারে সমস্যার সৃষ্টি হয়। সেখানে থেকেই বনিবনা না হওয়ার সূত্রপাত।