পাতা শব্দটি চিন্তা করলে প্রথমে মনে আসে গাছের পাতা। যা সত্যিই উদ্ভিদের অতি গুরুত্বপূর্ণ প্বার্শীয় প্রত্যঙ্গ।পাতা উদ্ভিদের খাদ্য প্রস্তুত,অক্সিজেন গ্রহন,কার্বন ডাই অক্সাইড ত্যাগ,অতিরিক্ত পানি বের করে-দেওয়া কাজ করে থাকে। যদিও লেখাটি গাছের পাতা নিয়ে নয়। লেখাটি হচ্ছে বইয়ের পাতা নিয়ে। অনুরূপ ভাবে বইয়ের পাতাও একটি বইয়ের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ। সারা বাংলার ন্যায় বৃহত্তর সিলেটের মুক্তিযুদ্ধ সংশ্লিষ্ট-বই সিলেটের গনহত্যা,সিলেটে মুক্তিযুদ্ধ,সিলেটে যুদ্ধাপরাধ ও প্রাসঙ্গিক দলিলপত্র,মুক্তিযুদ্ধে সুনামগঞ্জ,দাস পার্টির খোঁজে, সুনামগঞ্জে মুক্তিযুদ্ধ, ১৯৭১ চোরের গাঁওয়ের অশ্রুত আখ্যান সহ অসংখ্য গবেষনাধর্মী বইয়ের ন্যায় ‘রক্তাক্ত ৭১ সুনামগঞ্জ’ বইটিও। বইয়ের লেখক নিজে মুক্তিযোদ্ধা,আইনজীবি,সমাজসেবক সহ সমাজের নিগৃহীত,নিপীড়িত মানুষের কন্ঠস্বরও বটে। মুক্তিযুদ্ধের আলোকে উক্ত বইয়ের বিশেষ পাতা নিয়েই আজকের চর্বন।
বড় বড় যুদ্ধাপরাধীদের বিচার মানেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেমে থাকা নয়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারায় দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী প্রজন্মের কাছে স্বাধীনতা বিরোধীদের স্বরুপ উন্মোচন করা রাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজনৈতিক,সাংস্কৃতিক সংগঠন থেকে ব্যক্তিপর্যায়ে দায়িত্ব কম নয় বলে মনে করে ৭১ পরবর্তী প্রজন্ম বা প্রজন্ম ৭১। অনেকে ঘুরিয়ে পেছিয়ে নানাভাবে বলে এতোদিন পরে আর এসব বলে কি-হবে ?
বলে বর্নিত তালিকায় পর্যায়ক্রমে ১নং,২নং কে জনসম্মুখে আনা হয়েছে কাজেই ৩নং এনে কি হবে; বা বাকী-নং গুলো এনেই কি হবে? কিন্তু প্রজন্ম৭১ এর প্রশ্ন ‘একই উদ্দেশ্যে সবাই কাজী’ দেশ-মাতৃকার গায়েপড়া শাড়ি টানতে পাকিস্তানিদের দোষর হিসেবে কেউ কাজ করেছে নয় মাস, কেউ নয় দিন বা কেউ নয় সেকেন্ড। তাই বলে-কি ১নং ২নং কে জনসম্মুখে আনলেও বাকীরা বাদ যাবে ? হয়তো বড় বড় রাজনীতিকরাই ভোটের ধান্ধায় ওদেরকে বগলে ঢুকিয়ে নানান ধরনের সুবিধা দিয়ে সমাজের জাতে তুলেছেন। আবার স্বাধীনতা বিরোধীরা বা ওদের বংশধরেরাও মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন কৌশলে দারিদ্রতা,শিক্ষা-সেবা,স্বাস্হ্য-সেবা, আইনি-সেবা, সামাজিকতার বিভিন্ন বেড়াজালে আটকিয়ে এমনকি নৈতিকতায় নয় ধর্মীয় আত্মীয়তা সৃষ্টির দ্বারা মুখ বন্ধ করে দিয়েছে;পাশাপাশি আতংক তো আছেই। কিন্তু এটাও ঠিক ওরা মুখে না ফাটালেও বুক ঠিক ফাটিয়ে স্বপ্ন দেখে। মাঝে মাঝে রাতের অন্ধকারেও ভোরের লোহিত সূর্য্যের আভা দেখে।কানে কানে সেই-পিতা বেটার ৭ মার্চের ভাষন শুনে। সুভাষ,ক্ষুদিরাম,প্রীতিলতা,সুকান্ত,নজরুলের ন্যায় রক্তে শিহরন তুলে; ভাবে আগে তো বয়স অনেক কমছিলো, যুবক ছিলাম। যদি ৭১’র ঐ সময়ের বন্ধুক’টা আরেকবার পাইতাম ! এখন বয়স তো আর নাই তবুও প্রজন্ম ৭১’কে জানিয়ে দিয়ে যাই-
এরাই রাজাকার ছিলো এরাই শান্তি কমিটির সদস্য ছিলো। যদিও একজন সাধারণ মানুষ রাজাকার হলেও শান্তি কমিটির সদস্য হয়ছিলো লোভী রাজনৈতিক শিয়ানা তখনকার ক্ষমতাধর বৈতল বদমাশ মানুষজন। আর এমন রাজাকারদের নিয়েই জাতির কৃতি সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট বজলুল মজিদ খসরু তাঁর ‘রক্তাক্ত ৭১ সুনামগঞ্জ’ বইয়ের ১৮২ নং পৃষ্ঠাতে ভাটির জনপদ ‘শাল্লা’র নিম্নোক্ত তালিকাটি তুলে ধরেছেন যা সমগ্র বাংলাদেশের গবেষনা লব্ধ অন্যান্য মুক্তিযুদ্ধ বইয়ের ন্যায় তথ্যবহুল।
জানা যায় প্রত্যন্ত অঞ্চল যুদ্ধবিদ্ধস্ত শাল্লাতে প্রায় ৩৩টি গ্রাম একেবারে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছাড়খাড় করে দিয়েছিল পাকিপ্রেমী স্থানীয়ঐ তালিকাভুক্ত রাজাকারা(২২ডিসেম্বর ২০১৯,দৈনিক মানব কন্ঠ ও সমকাল) গ্রামগুলোতে গেলে দেখা যেতো আগুনে পুড়া গাছ-গাছড়া,বাকী ছাঁই আর ছাঁই। শরনার্থী ক্যাম্প থেকে ফিরে এসে মানুষ তার বাড়ি-ঘর চিনতে পারতো না।দেখলে চোখে এমনিতেই জল এসে যেতো। রাজাকাররা কারো কারো বাড়ির থেকে গৃহপালিত গরু,ঘরের ধানের গোলা থেকে ধান,বহুমূল্যবান কাঁসারি আসবাব পত্র,নগদ অর্থ লুট করেছে। অবশেষে ঘর-বাড়ি আগুন দিয়ে সরাসরি জ্বালিয়ে দিয়েছে আবার ছদ্মবেশী শিয়ানা রাজাকাররা পরোক্ষ ভাবে করিয়ে নিয়েছে।ঐ সময়ে কিছু গবাদিপশু ঐ রাজাকাররা নিয়ে থাকলেও এই অঞ্চলটায় বর্ষা মৌসুম হওয়ায় অনেক বাড়ির গোয়ালে বান্ধাবস্থায় আগুনে ভস্মীভূত হয়েছে। কিছুটা হয়তো হয়েছে আধা-পুড়া। গত কিছুদিন আগেও অস্ট্রেলিয়ায় দাবানলে অগ্নিদগ্ধ পশু পাখিদের বিভৎস অবস্থা দেখে মনে পড়েছিলো হাওয়র বেষ্টিত এই প্রত্যন্ত অঞ্চল ৭১এর সেদিনকারের কথা। মানুষ পালাউ পালাউ বলে কিছুটা পালাতে পারলেও প্রতিটা গ্রামের প্রতিটা ঘরে ছিলো গৃহপালিত পশু গরু,ছাগল,মহিষ,প্রভুভক্ত কুকুর,পোষা প্রাণী বিড়াল, হাঁস মুরগী থেকে আরো কতো ধরনের হরেক রকমের পাখি। খুব কাছ থেকে অনুধাবন করলে শুনা যায় দুঃখের ভেতর লুকানো থাকে তাদের আর্ত-চিৎকার।এসব গৃহপালিত পশু বা পোষাপ্রাণীর কান্না লোকচক্ষুর অন্তরালে হলেও দূর থেকে ভেসে আসা এদের কান্না শুনে মনে হয় স্বজন হারানোর বেদনা। জোছনার আলোয় এদের চোখে যে কান্না দেখা যায়, শেষরাতের কুয়াশা তা চুরি করে পালায়। রাতের কান্না সকাল হতেই বায়বীয় রূপে মিলিয়ে যায়।
কথিত আছে, কুকুরের কান্না অশুভ বার্তা বয়ে আনে, দেশজুড়ে ডেকে আনে মারী ও মড়ক। বাড়ির বয়োজ্যেষ্ঠরা উদ্বিগ্ন হন। বিপদ থেকে রক্ষা পেতে প্রার্থনা পর্যন্ত শুরু করে দেন। অথচ মানুষ যখন দানবীয় লীলায় হাসতে হাসতে ঘরের গৃহপালিত পশু,পাখি,গাছ উজাড় করে জনপদকে মরুভূমিতে রুপান্তর করে বিরান করে ফেলে তখনও খুঁজে কোন দোষ নেই। তবে প্রতিটি ধ্বংশ বা বিপর্যয়ের পাশেই থাকে অশনি সংকেত। শোনা যায়,যে কোন বিপর্যয়ের আগে হাওয়াতেও যে পরিবর্তন থাকে সেটা সবার আগে পশু-পাখিরাই বুঝতে পারে।
সেদিনও গভীর রাতের ভোরের কুকুরগুলো বুঝতে পেরেছিল। ছিলো শ্রাবণী পূজার দিন। বুঝতে পেরেছিল বুতুম পাখির ন্যায় জ্বীর্ন কাকগুলোও। যেন অলক্ষীর ন্যায় কা’কা’কা শব্দ ।সারা গ্রাম ছিলো নিরব নিস্তব্ধ । কারো সাথে কারো সাক্ষাৎ ছিলোনা সাক্ষাৎ হলেও বলতো পালাউ পালাউ । পূর্ব হাওরের প্রান্তে মাখালকান্দি গ্রাম জ্বলে উঠেছিল জাপানের নাগাশিকোর মতো অগ্নি শিখা। চারিদিকে ভেসে আসে শুধু পালাউ পালাউ । মনেহয় হাওয়র বেষ্টিত সমগ্র ভাটি অঞ্চলে রাজাকার,শান্তিবীহিনীদের গাঁও-গেরাম ছাড়া তেমন কোন গ্রাম এই ধ্বংস যজ্ঞের বাকী থাকেনি ।
আজ মুক্তিযুদ্ধের এতোদিন পরও ভীবৎষময় সেদিনকার ভয় কেটে উঠতে পারেনি মানুষ। পারে না বলতে। বলতে গিয়েও কন্ঠ শুকিয়ে পড়ে।পাকিস্তানি হটলেও সমাজের প্রতিটা স্তরে এদের শিখর রাজাকার আলবদর আলশামস বা শান্তিবাহিনীর তখনকার ভীবৎস চেহারা উঠে ভেসে।
এমনও দেখা যায় দুর্দান্ত ত্যাজী সাহসী মুক্তিযোদ্ধাদের ঐ সমস্ত শকুনের শাবকেরা কৌশলে প্রলোভন দিয়ে নিয়েগেছে পকেটে। পারিবারিক ভাবে গড়ে তুলেছে ধর্মীয় আত্মীয়তার বন্ধন। অনেক সময় ওদের বাপ-কাকার তখনকার স্বাধীনতার বিপক্ষের ভূমিকা তুলে ধরলে ওরা সরাসরি সাফাই গাওয়ার জন্য উদাহরন দিয়ে টেনে আনে মুক্তিযোদ্ধাদের নাম।
সত্য বলতে কি মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে এ দেশের কিছু অসাধু, লোভী, পাষণ্ড ও দেশদ্রোহী যোগ দেয় ওই সব বাহিনীতে। ফলে যখন পাকিস্তানি সেনারা এ দেশে জুলুম চালায়, তখন তারা পাকিস্তানি সেনাদের নানাভাবে সাহায্য করতে থাকে। পাকিস্তানিদের সাহায্যকারী এসব মানুষকেই রাজাকার, আলশামস ও আলবদর বলা হয়। এক কথায় স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় যেসব বাঙালি পাকিস্তানি সেনাদের সহায়তা করত, তারাই রাজাকার, আলশামস ও আলবদর। অন্যভাবে বলা যায় যুদ্ধের সময় পাকিস্তানী সেনাবাহিনীকে সহায়তা করার জন্য বাংলাদেশের ভেতরে বেশ কয়েকটি বাহিনী বা সংগঠন গড়ে উঠেছিল এগুলো হচ্ছে – শান্তি কমিটি, রাজাকার, আল-বদর এবং আল-শামস; ওরা স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন সময় দোষর হিসেবে পরিপূর্ন নয় মাস করে থাকুক আর নয় সেকেন্ড করে থাকুক।
রাজাকার, আলশামস বাহিনীর প্রধান কাজ ছিল পাকিস্তানিদের সাহায্য করা। মানুষের সম্পদ ও খাবার লুট করে এরা পাকিস্তানিদের দিতো। এ ছাড়া মুক্তিযোদ্ধাদের গতিবিধির খবর পাকিস্তানি সেনাদের কাছে পৌঁছে দিতো। তাদের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল পাকিস্তানিদের বাঙালি হত্যার পরিকল্পনাকে সফল করে তোলা।
তথ্যসূত্রে জানা যায় ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকবাহিনীর আত্মসমর্পণের সঙ্গে সঙ্গে রাজাকার বাহিনীর স্বাভাবিক বিলুপ্তি ঘটলেও ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান সামরিক প্রশাসনকে সহায়তা প্রদানকল্পে মে মাসে খুলনায় খান জাহান আলী রোডের একটি আনসার ক্যাম্পে ৯৬ জন পাকিস্তানপন্থী কর্মী নিয়ে হায়দ্রাবাদের ‘রাজাকার’ -এর অনুকরণে রাজাকার বাহিনী গঠন করা হয়। যুদ্ধরত পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীকে সহায়তা প্রদানের উদ্দেশ্যে রাজাকার দল গঠিত হয়।
গবেষকদের মতে যুদ্ধের সময় শান্তি কমিটি গঠনের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন রাজনৈতিক ব্যক্তিরা। প্রথম পর্যায়ে রাজাকার বাহিনী ছিল এলাকার শান্তি কমিটির নেতৃত্বাধীন এবং যাদের নেতৃত্ব ছিল পাকিস্তানপন্থী স্থানীয় নেতাদের হাতে। আর শান্তি কমিটির কাজ ছিলঃ
১।মুক্তি-বাহিনীর বিপক্ষে সামাজিক সচেতনতা বাড়ানো,
২। মুক্তি-বাহিনীর বিপক্ষে স্পাইয়িং,
৩। বুদ্ধিজীবীদের বের করা,
৪। পাকিস্তানী ফৌজকে খাবার বা আশ্রয় দেয়া,
৫। মেয়ে অপহরন এবং যৌন হয়রানি/ধরষনের জন্য পাকিস্তানী বাহিনীকে সাপ্লাই দেয়া,
৬। ইন্টারোগেশন।
আল-বদর গঠিত হয়েছিল বিভিন্ন লেভেলের মুসলিম ছাত্রদের নিয়ে যারা জামাত-ইসলামীর প্রতি অনুগত ছিল। তাদের কাজ ছিলঃ
১। ইন্টারোগেশন,
২। মুক্তি-বাহিনীর বিপক্ষে স্পাইয়িং,
৩। রেগুলার আরমির গাইড হিসেবে কাজ করা,
৪। অপারেশনে সাহায্য,
৫। হত্যা ইত্যাদি।
আল-শামস গঠিত হয়েছিল মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক ও জামাত-ইসলামী বাদে অন্যান্য ইসলামিক রাজনৈতিক দলের সাপোরটারদের নিয়ে। আরেকটি কথা রাজাকার’ একটি ফার্সি শব্দ, যার অর্থ হচ্ছে ‘স্বেচ্ছাসেবী’। অনেক রাজাকার সদস্য অবশ্য স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে কাজ করলেও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক বেসরকারি গবেষণা সংস্থা ‘ওয়ার ক্রাইমস ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি’র আহবায়ক ড. এম এ হাসান বিবিসি বাংলার সাথে কথা বলতে (১৭ ডিসেম্বর ২০১৯) বলেন, “যতদূর আমার মনে আছে, একজন রাজাকার সদস্য তখন ১৫০ রুপি ভাতা পেত। যেখানে স্বাধীনতার পরেও এক ভরি স্বর্ণের দাম ছিল প্রায় ৯০ রুপি”। আজ ওরা অর্থে-বিত্তে পরিপূরক। বাপ-কাকাদের অপকর্মকে ঢাকতে স্কুল,কলেজ,বাজার থেক খুলছে দাতব্যালয়। তাই গণসংগীত শিল্পী বিপ্লবী ভবতোষ চৌধুরী’র কন্ঠে নতুন প্রজন্ম জানতে চায়-
”ধর ধর ধর ধর রে তোরা রাজাকাররে ধর
তেলচোরারে ধর, গমচোরারে ধর, আমলারে ধর
তার মনিবরে ধর।।
মা-বইনেরে যারা দিছে পাঞ্জাবিদের হাতে
তারা দেখি হাসে এখন বইসে রাজসভাতে
ধর্মের কথা শোনায় তারা মঞ্চে উইঠা গরগরগর।।
একাত্তরের পরে যারা কিনছে জমি-বাড়ি
ভুখাফাঁকার দেশে যারা চালায় রঙিন গাড়ি
টাকাপয়সা কই পাইল সে একবার তারে জিজ্ঞেস কর”।।
আজ যুগের বৈপ্লবিক পরিবর্তনে প্রযুক্তির কল্যাণে কেঁচো কুড়তে সাপ বেড়িয়ে আসছে। একটু বইয়ের পাতা ঘাটলেই চোখে পড়ছে ৭১-এ এদের অবস্থান।চোখে পড়ছে এদের দুষ্কর্ম। এতোদিন পরেও নতুন প্রজন্ম জানতে পারছে তখনকার ঘটনা; জাগছে বইয়ের পাতায় প্রশ্ন।