সাইফ উল্লাহ:
সুনামগঞ্জ জেলা ধর্মপাশা উপজেলা পাইকুরাটি ইউনিয়ন বৌলাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই প্রথম ইসলাম ও কোরআন শিক্ষার ব্যাতিক্রমি উদ্যোগ নিলেন আমেরিকা প্রবাসি ও বৌলাম গ্রামের মৃত ডাক্তার মনু মিয়া সাহেবের ছেলে মোঃ শামিম আহমেদ ও বিদ্যালয়ের সভাপতি আওয়ামীমীগ নেতা মোঃ শাহজাহান মিয়ার সহযোগিতায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ হারুন রশিদ ও সহকারি শিক্ষক তাদের স্কুলে কার্যক্রম শুরু করেছেন।
খবর নিয়ে জানাযায় স্কুল কলেজের ছাত্র/ছাত্রীদের মধ্য অনেকেই সঠিক সময়ে কোরআন শিক্ষা করতে পারেনা এবং পরে আর কোরআন শিক্ষা হয়না,তাই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দীর্ঘদিন যাবত এই কোরআন শিক্ষার ব্যাতিক্রমি উদ্যোগ নিতে চেষ্টা চালিয়েযান আল্লাহর রহমে বিদ্যালয়ের সভাপতি ও আমেরিকা প্রবাসির সহযোগিতায় সমপুর্ন বিনা মুল্যে এই কোরআন শিক্ষার ব্যাতিক্রমি আয়োজন করেছেন,এই ব্যাতিক্রমি উদ্যোগের কথা শুনে এলাকার বিভিন্ন মানুষ তাদের সন্তানদের এই বিদ্যালয়ে পাঠাচ্ছেন কোরআন শিক্ষার জন্য
কোরআন শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন বাদশাগঞ্জ বাজার জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব হাফেজ মাওলানা মোঃ আনোয়ার হোসেন,প্রতি বৃহস্পতিবার বিদ্যালয় ছুটির পর ও শুক্রবার সকাল ৯ টায় কোরআন শিক্ষার ক্লাস শুরু হয়
আমেরিকান প্রবাসি মোহাম্মাদ শামিম আহমেদ কেন এই উদ্যোগ নিলেন বিস্তারিত তার পাঠানো বার্তা সম্পুর্ন তুলে ধরা হল,
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ সুবহানাতায়ালা
বাংলাদেশে যে সকল শিশুরা স্কুলে শিক্ষা গ্রহণ করে তাদের বেশিরভাগ শিশুরাই সরাসরি ধর্ম শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়.
হোক সে মুসলিম ,হিন্দু অথবা অন্য যে কোন ধর্ম অবলম্বী . কেননা বাংলাদেশের স্কুল শিক্ষা ব্যবস্থায় সরাসরি কোন ধর্মগ্রন্থ jemon আল-কোরআন ,গীতা ,ত্রিপিটক অথবা অন্য যেকোনো মূল ধর্মগ্রন্থ শিক্ষাদানের কোন ব্যবস্থা নাই.
কিছু কিছু বৃত্তবান পরিবার হয়তো প্রাইভেট ধর্মীয় শিক্ষকদের মাধ্যমে নিজেদের শিশুদেরকে ঘরে শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করে থাকেন কিন্তু সব শিশুদের ক্ষেত্রে এটা প্রযোজ্য হয় না.
শিশু বয়সেই হচ্ছে শিক্ষার পরিপূর্ণ সময় ,তাই আমি চিন্তা করছিলাম যে কিভাবে এই সব ধর্ম শিক্ষাবঞ্চিত শিশুরা প্রকৃত ধর্ম শিক্ষা এবং বিজ্ঞান শিক্ষায় আলোকিত হতে পারে.
একদিন শনিবারে জহুরের (আমেরিকাতে )নামাজের জন্য যখন মসজিদে গেলাম , তখন আমার চিন্তার সমাধান আল্লাহ সুবহানাতায়ালা সমাধান করে দিলেন.
আমেরিকায় শিশুরা পাঁচ দিন (সোম থেকে শুক্র )স্কুলে যায় এবং শনি এবং রবিবার নিজ নিজ প্রার্থনালয়ে গিয়ে ধর্ম শিক্ষা গ্রহণ করে ,ফলে শিশুরা দুইদিক হতেই শিক্ষা গ্রহণ করে বড় হয়. ফলে তাদের স্বভাবের মধ্যে দেখাযায় ধর্মের ভাবগাম্ভিয এবং শিক্ষার আভিজাত্.
আমি ভাবলাম এই সুন্দর ব্যবস্থাটা বাংলাদেশে প্রাইমারি স্কুলের শিশুদের মধ্যেও চালু করা গেলে হয়তো শিশুরা সহি শুদ্ধভাবে নিজ নিজ ধর্ম গ্রন্থ শিক্ষাগ্রহণ হতে বঞ্চিত হবে না.
যাই হোক এই বিষয়টা প্রথমে আমি মাওলানা আনোয়ার সাহেবের সঙ্গে পরামর্শ করি ,পরে পরামর্শ করি স্কুলের হেড স্যার হারুন সাহেবের সঙ্গে এবং স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির চেয়ারম্যান শাহজাহান ভাইয়ের সঙ্গে এবং উনারা সবাই আমার এই প্রস্তাবকে সাদরে গ্রহণ করেন.
বেশ কিছুদিন পরে কলেজের প্রফেসর এনামুল হক স্যার আমাকে অবহিত করেন যে primary স্কুলে ,প্রতি শুক্রবার আগ্রহী শিক্ষার্থীদের নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সহি শুদ্ধ কুরআন শিক্ষা প্রোগ্রাম চালু হয়েছে.
খবরটা শুনে খুব আনন্দিত হয়েছি এবং একই সাথে এইসব সুন্দর উদ্যোগ কে এগিয়ে নেওয়ার জন্য এলাকাবাসীর নিকট সহযোগিতা চাইছি.
দোয়া করি সকলে ভালো থাকুন এবং আমার জন্য দোয়া করবেন.
আমি প্রাইমারি শিক্ষা পদ্ধতি কে অবশ্যই প্রয়োজন মনে করি , কেননা শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড.
তবে জেনারেল শিক্ষার সাথে সাথে যদি শিশুরা প্রকৃত ধর্ম শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে না ওঠে , তবে জাতি হয়তোবা শিক্ষিত মানুষ পাবে ,কিন্তু সুদ মুক্ত, ঘুষ মুক্ত মাদকমুক্ত ,দুর্নীতিমুক্ত সুন্দর সমাজ গঠন সম্ভব না,এবং পরকালে মুক্তি পেতে হলে ধর্মিয় শিক্ষার কোন বিকল্প নেই।##