হাওর ডেস্ক::
সারা বিশ্বের আতঙ্কের নাম করোনাভাইরাস। এই মারণ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে সারা বিশ্বে। ভারতেও ছড়েয় পড়েছে করোনা। দেশটিতে তিনশ ৩২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ভারতের প্রত্যেকটি রাজ্যেই হু হু করে বাড়ছে ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।
এমন পরিস্থিতিতে গোটা রাজ্য লকডাউন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজস্থান সরকার। শনিবার এই সংক্রান্ত বিষয়ে জরুরি বৈঠকে বসেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেইলট। সেখানেই এই মুহূর্তে সে রাজ্যে যা পরিস্থিতি তাতে লকডাউন ছাড়া কোনো উপায় নেই। আর সেই কারণে িসন্ধ্যায় এই ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
তিনি জানিয়েছেন, সমস্ত সরকারি এবং বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সে রাজ্যের সমস্ত মল, দোকান, ফ্যাক্টরিগুলোকে। এমনকি সমস্ত সরকারি এবং বেসরকারি পরিবহনও আপাতত বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী নির্দেশিকা না দেওয়া পর্যন্ত সমস্ত কিছু বন্ধ রাখার জন্যেই বলা হয়েছে। গোটা রাজ্য লকডাউন হলেও কিছু জরুরি পরিষেবাকে বাদ রাখা হয়েছে এর আওতা থেকে। এই মুহূর্তে রাজস্থানে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৩১। পরিস্থিতি কার্যত ভয়ঙ্কর দিকে যাচ্ছে। আর সেই কারণেই এই নির্দেশিকা।
অন্যদিকে, গুজরাটও সম্পূর্ণভাবে লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে। জরুরি পরিষেবার বাইরে কোনো কিছুই খোলা রাখা যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। আগামী কয়েকদিন রাস্তাঘাটে যাতে মানুষ না বের হন সেই কারণেই জরুরি ভিত্তিতে এই নির্দেশিকা দেওয়া হল। গুজরাটে এই মুহূর্তে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৪। দুই রাজ্যের পাশাপাশি ওড়িশা বেশ কয়েকটি জেলাতে লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে। আগাম সতর্কতা হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওড়িশায় সরকারের পক্ষ থেকে।
ভারতে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। লাফিয়ে লাফিয়ে প্রতিমুহূর্তে বাড়ছে মারণ ভাইরাসের রোগী। রবিবারই দেশ জুড়ে জারি হবে জনতা কার্ফু। তার আগে সংখ্যা পৌঁছাল ৩৩২-এ। হিসেব বলছে, এক সপ্তাহে একধাক্কায় দ্বিগুণ হয়ে গেল করোনা আক্রান্তের সংখ্যা।
দেশের মধ্যে মোট ২৩টি রাজ্যে ছড়িয়েছে এই মারণ ভাইরাস। অন্ধ্রপ্রদেশে আক্রান্তের সংখ্যা ৩, ছত্তিশগড়ে ১, দিল্লিতে ২৬, গুজরাটে ১৩, হরিয়ানায় ২০, হিমাচলপ্রদেশে ২, কর্নাটকে ২০, কেরালায় ৫২, মধ্যপ্রদেশে ৪, মহারাষ্ট্রে ৬৩, ওড়িশায় ২, পুদিচ্চেরিতে ১, পাঞ্জাবে ১৩, রাজস্থানে ২৪, তামিলনাড়ুতে ৬, তেলেঙ্গানাতে ২১, চন্ডীগড়ে ৫, জম্মু-কাশ্মীরে ৪, লাদাখে ১৩, উত্তরপ্রদেশে ২৫, উত্তরাখণ্ডে ৪ এবং পশ্চিমবঙ্গে আক্রান্তের সংখ্যা ৪ জন।