স্টাফ রিপোর্টার::
করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে জনসচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসন স্বেচ্ছাসেবী নিয়োগের প্রশংসনীয় ঘোষণা দিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ২২ মার্চ রবিবার দুপুরে স্বেচ্ছাসেবী চেয়ে ঘোষণা দেন তাহিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান করুনা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল। ঘোষণায় তিনি কমেন্টে স্বেচ্ছাসেবকদের নাম ও ঠিকানাসহ মোবাইল নম্বর দেওয়ার অনুরোধ জানান। তার এই স্টেটাসে ১৯০ জন লাইক দিয়ে ৫৬জন কমেন্টে স্বেচ্ছাসেবী হওয়ার নাম ঠিকানা দেন। এদিকে একই বিষয়ে ৬ ঘন্টা পর ‘ইউএনও তাহিরপুর’ ফেইসবুক আইডি থেকে স্টেটাস দিয়ে একইভাবে স্বেচ্ছাসেবী চাওয়া হয়। ওই স্টেটাসে ২৫১জন লাইক দিয়ে ৫৯জন কমেন্ট করে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে নাম ঠিকানা দেন। উপজেলা প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এমন ঘোষনায় সচেতন মানুষদের মধ্যে সাড়া পড়ে। তারা মানুষের জন্য এই দুর্যোগে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। ঘোষণায় প্রশিক্ষণ দিয়ে গ্রামে সচেতনতা বিষয়ে প্রচারণা চালাবেন। প্রতিটি ওয়ার্ডে ৫জন করে স্বেচ্ছাসেবীর কথা বলা হয়েছে ঘোষণায়।
‘ইউএনও তাহিরপুর’ আইডি থেকে বলা হয়, তাহিরপুর উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন এর প্রত্যেক ওয়ার্ডে আমাদের পাঁচজন করে স্বেচ্ছাসেবক দরকার। স্বেচ্ছাসেবকদেরকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে যাতে তারা গ্রামে গ্রামে ঘুরে করোনা ভাইরাস বিষয়ে জনগণকে সচেতন করতে পারে। উপজেলা প্রশাসন ও ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে প্রতি ওয়ার্ডে কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমাদের স্বেচ্ছাসেবক দল সেই কমিটির সহযোগী হিসেবে কাজ করবে। এই আহ্বানে তাহিরপুরের প্রত্যন্ত এলাকার সচেতন মানুষ সাড়া দিয়ে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসনের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন সুধীজন।
তাহিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান করুনা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণে বাংলাদেশ বড় ঝূকিতে। প্রত্যন্ত এলাকা হিসেবে সচেতনতার অভাবে আমাদের ঝূকি আরো বেশি। তাই স্বেচ্ছাসেবীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আমরা গ্রামে গ্রামে ঘুরে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য উদ্যোগ নিয়েছি। অনেক মানুষ তাতে সাড়া দিয়েছেন। এভাবে সম্মিলিত চেষ্টায় আমরা করোনাভাইরাস সংক্রমন করতে সচেষ্ট হবো।